সুদীপ রায়চৌধুরী: জ্বলছে সন্দেশখালি। পরিস্থিতির জটিলতা বুঝে কেরল সফর কাটছাঁট করে রাজ্যে ফিরছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। আগামিকাল অর্থাৎ সোমবার সন্দেশখালি যাবেন তিনি। খতিয়ে দেখবেন সেখানকার পরিস্থিতি।
শাহজাহান শেখের বাড়িতে ED তল্লাশিকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছিল অশান্তি। পরবর্তীতে জল গড়িয়েছে অনেক দূর। তৃণমূল নেতা ও তার সাগরেদদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে সন্দেশখালি। লাঠি, ঝাঁটা হাতে রাস্তায় নেমেছেন মহিলারা। একের পর এক জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে পোলট্রি ফার্ম। শনিবার বিজেপির প্রতিনিধি দল গিয়েছিল সন্দেশখালি। সেখানে বাধা পায় তাঁরা। এদিকে শনিবারই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নেতৃত্বে রাজভবনে যায় বিজেপির পরিষদীয় দল। সন্দেশখালি নিয়ে রাজ্যপালকে ২৪ ঘণ্টার ডেডলাইন দেন শুভেন্দু। রাজ্যপালের ওএসডি সন্দীপ রাজপুত, উপদেষ্টা এস কে পট্টনায়কের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। এর পরই নড়েচড়ে বসে রাজভবন। ওএসডির মাধ্যমে এই খবর পেয়ে ইমেল পাঠিয়ে নবান্নে সন্দেশখালি সম্পর্কে রিপোর্ট চেয়ে পাঠান সি ভি আনন্দ বোস।
[আরও পড়ুন: ‘জাতির জনক…লাভ ইউ শাহজাহান’, সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল TMC নেতার অনুগামীদের গান]
এখনও অশান্তির আগুন জ্বলছে সন্দেশখালিতে। শাহজাহান ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে মুখ খুলে আতঙ্কে কাঁটা এলাকার বাসিন্দারা। এদিকে এখনও গ্রেপ্তার করা যায়নি শিবু হাজরা ও শাহজাহানকে। এদিকে শিবু হাজরার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার হয়েছেন প্রাক্তন বাম বিধায়ক নিরাপদ সর্দার। সব মিলিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে জনতা। এই পরিস্থিতিতে কেরল সফর কাটছাঁট করে বাংলায় ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল। আগামিকাল সন্দেশখালি যাবেন তিনি। খতিয়ে দেখবেন পরিস্থিতি। প্রসঙ্গত, শনিবারের আগেও মুখ্যসচিবের কাছে সন্দেশখালি কাণ্ডে রিপোর্ট তলব করেছিলেন রাজ্যপাল।