সম্যক খান, মেদিনীপুর: বছর দুই বয়সের সন্তানকে নিয়ে বাইকে করে যাচ্ছিলেন দম্পতি। মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মারা গেলেন ওই স্বামী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি স্ত্রী। কিন্তু দুর্ঘটনায় কোনও আঁচও পড়েনি ওই ছোট্ট শিশুর। বাবা যে আর ফিরবেন না। সেই বিষয়টিও বোঝারও তার বোধ হয়নি। ওই দম্পতির নাম পার্থসারথি ঘোষ ও সুপর্ণা ঘোষ। তাঁরা কলকাতার উপকণ্ঠে সল্টলেকের বাসিন্দা বলে খবর। ওই দম্পতি এদিন বাইক নিয়ে ওড়িশা যাচ্ছিলেন বলে প্রাথমিক খবর।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ, শনিবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের মাদপুরে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে। এদিন ভোরে একটি বাইক নিয়ে কলকাতা থেকে রওনা হয়েছিলেন ওই দম্পতি। সঙ্গে ছিল একমাত্র সন্তান। এদিন ভোর থেকেই রাজ্যজুড়ে কুয়াশার দাপট দেখা গিয়েছিল। বাইক চালাচ্ছিলেন বছর ৩৯-এর পার্থসারথি। পিছনে সন্তানকে নিয়ে বসেছিলেন ৩২ বছর বয়সের সুপর্ণা। সকাল আটটা নাগাদ বাইকটি জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে যাওয়ার সময়ই ঘটে ওই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
রাস্তার ধারের ডিভাইডারে ওই বাইকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনায় ছিটকে গিয়েছিলেন তিনজনই। রক্তাক্ত অবস্থায় স্বামী-স্ত্রী দু'জনেই রাস্তায় পড়ে থাকেন। বরাতজোরে রক্ষা পেয়ে যায় ওই একরত্তি শিশু। তার গায়ে এতটুকু আঁচড়ও পড়েনি বলে খবর। কিছু সময় পরেই স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে এসে তিনজনকেই উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা পার্থসারথিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গুরুতর জখম ছিলেন সুপর্ণা। প্রথমে ওই হাসপাতালেই তাঁর চিকিৎসা হয়। পরে ওই তরুণী কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে খবর। ঘটনার কথা ওই দম্পতির পরিবারকে জানানো হয়। সদস্যরা মেদিনীপুর হাসপাতালে গিয়ে ওই শিশুকে নিজেদের সঙ্গে নিয়েছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
