নন্দন দত্ত, সিউড়ি: নিহত ভাদু শেখের (Vadu Seikh) ভাইরা কোথায়? বুধবার বিকালে বগটুই গ্রামের তাদের বাড়ি গিয়ে খোঁজ নিল সিবিআইয়ের তদন্তকারী দল। বুধবার নলহাটি থানার ওসিকে ডেকে ঘটনার রাতে একটি আবাসনের ভিতরে কী আলোচনা হয়েছিল তা রেকর্ড করে তদন্তকারীরা। একইসঙ্গে নলহাটির একটি গ্রামে গিয়ে গণহত্যায় মৃতদেহ কীভাবে শনাক্ত করলেন, তা নিয়ে মৃতদের নিকট আত্মীয়দের জিজ্ঞাসাবাদও করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তকারী দল। পাশাপাশি এদিন মাড়গ্রামে নিহত ভাদুর বোনের বাড়ি গিয়ে তার সঙ্গেও কথা বলে সিবিআই।
বগটুই গণহত্যার (Bagtui Clash) তদন্তে নেমে পঞ্চম দিনে ছোট-ছোট দলে ভাগ হয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালায় সিবিআই। সকালেই বগটুই গ্রামের (Bagtui Village) পশ্চিম পাড়ায় নিহত ভাদুর সৎ ভাই আলি হোসেন ও ভাই কালু শেখের বাড়ি যায় তারা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বাইরে পাহারায় রেখে আলি ও কালুর ঘরে ঢোকে তদন্তকারীরা। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই দুজনই গ্রাম ছাড়া। তাদের না পেয়ে পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করে করে তদন্তকারীরা। এদিকে সিবিআই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতেই ক্ষোভে ফেটে পরে আলি হোসেনের স্ত্রী ও মেয়ে। তাঁদের দাবি, আলি-কালুকে মিথ্যা ফাঁসানো হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: বেনজির! শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপের দাবি হাই কোর্টের বিচারপতির]
আলি হোসেনের স্ত্রী জেনেহারা বিবি বলেন, “সিবিআইয়ের (CBI) দল আমার পরিচয় জানতে চায়। আমার স্বামী কোথায় প্রশ্ন করে? তারা জানায়, আমরা নিজে কিছু বলছি না, সংবাদমাধ্যম আপনার স্বামীর সঙ্গে গণহত্যার যোগসাজশের প্রশ্ন তুলেছে।” জেনেহারা বিবির কথায়, “পরিকল্পিতভাবে আমার স্বামীর নাম করা হচ্ছে। আমার স্বামী বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন। চা-চপের দোকান আছে। তাকে ফাঁসানো হচ্ছে।” আলি হোসেনের মেয়ে মমতা খাতুনও একই অভিযোগ তুলেছেন। বলছেন,”ভাদু শেখ মারা যাওয়ার খবর পেয়ে বাবা হাসপাতালে যায়। তারপরে বাড়ি ফিরে আসে। বাবা এখন বাইরে গিয়েছে। আজকেই বাড়ি ফিরবে। তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে।” ভাদু শেখের দুই ভাই ছাড়া আরও চারটি বাড়িতে যায় সিবিআই। এমনকী, মাড়গ্রাম থানার মল্লিকপুর গ্রামে গিয়ে ভাদুর বোনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
অন্যদিকে নলহাটির ওসি মনোজ সিংকে পান্থশ্রীতে ডেকে ঘটনার রাতে আবাসনে কতক্ষণ বৈঠক হয়েছিল, কী কী আলোচনা হয়েছিল তা জানতে চায় সিবিআই। ডাকা হয় রামপুরহাট থানার এক এসআই কেও। সঙ্গে দমকলের দুই আধিকারিককেও তলব করেছিল তদন্তকারীরা। ওসির বয়ান রেকর্ড করে সিবিআই। পাশাপাশি নলহাটির কোগ্রামে আলাউদ্দিন শেখের বাড়িতে গিয়ে সিবিআই জানতে চায় কীভাবে তিনি মৃতদেহ শনাক্ত করেছিলেন। উল্লেখ্য, গণহত্যায় পুড়ে যাওয়া দেহগুলি তাঁদের নিকট আত্মীয় হিসাবে আলাউদ্দিন শেখই শনাক্ত করেছিলেন।
[আরও পড়ুন: মূল্যবৃদ্ধির ক্ষতে প্রলেপ! সরকারি কর্মচারীদের DA বাড়াল কেন্দ্র]
বগটুই গ্রামের অগ্নিদগ্ধ পাঁচটি বাড়ি লাগোয়া বাড়ির বাসিন্দা তাহের শেখকে এদিন রামপুরহাটে ডেকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ চলে। তাহের শেখ জানান, “বোমার আওয়াজ শুনে আমি দুই নাতিকে নিয়ে ঘরে ঢুকে লোহার দরজা লাগিয়ে দি। বাইরে তখন বোমাবাজি আগুন লাগানোর ঘটনা চলছে। বাইরে সবাই ছোটাছুটি করছে। কিন্তু কাউকে অন্ধকারে চিনতে পারিনি। বোমার ভয়ে দরজা খুলতে পারিনি।” অন্যদিকে সাঁইথিয়ার শ্বশুরবাড়ি থেকে এদিন কুমাড্ডা গ্রামে মিহিলাল শেখ ও বানীরুল শেখকে পৌঁছে দেয় প্রশাসন। সিবিআই মিহি
