অর্ণব দাস, বারাকপুর: ফের সাইবার জালিয়াতদের কবলে পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান সোমনাথ দে। তাঁর নাম করে টাকা হাতানোর ছক কষেছিল প্রতারকরা। তাও আবার হোয়াটসঅ্যাপ ডিপিতে খোদ চেয়ারম্যানেরই ছবি দিয়ে দলেরই কাউন্সিলরের কাছে টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠল তাদের বিরুদ্ধে। তা জানতে পেরে খড়দহ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন সোমনাথবাবু। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
যে নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠিয়ে টাকা চাওয়ার অভিযোগ, সেই নম্বরটি শুরু +৮৪ দিয়ে। তা থেকে অনুমান, নম্বরটি আন্তর্জাতিক। পানিহাটির তৃণমূল কাউন্সিলর ঝর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাওয়া হয়। জালিয়াতরা নিজেদের চেয়ারম্যান সোমনাথ দে-র অনুগামী বলে দাবি করে এই অর্থ চায়। তাতে সন্দেহ হয় কাউন্সিলর ঝর্ণাদেবীর। তিনি বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানাতেই পুলিশের দ্বারস্থ হন সোমনাথবাবু। সাইবার প্রতারকদের ফাঁদে পড়েছেন বলে অভিযোগ জানান। সোমনাথ দে বলেন, "হোয়াটসআ্যপে আমার ছবি ব্যবহার করে আমার নাম করে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ঝর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ৫০হাজার টাকা চাওয়া হয়। টাকা পাঠানোর জন্য একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর দেওয়া হয়েছিল। সন্দেহ হলে ঝর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে জানায়। এরপর জানতে পারি ১নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জুলি সরকার পাত্রকেও একই নম্বর থেকে একইভাবে মেসেজ করা হয়েছিল। বারবার এমনটা হওয়ার পিছনে চক্রান্ত রয়েছে বলেই মনে করি।"
প্রসঙ্গত, এর আগেও হোয়াটসঅ্যাপে পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান সোমনাথ দে'র ছবি ব্যবহার করে তাঁর নাম করে কলকাতা কর্পোরেশনের এক বরো চেয়ারম্যানের কাছে ফোন করে প্রোমোটিংয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এরপর ফের শুক্রবার পানিহাটি পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের কাছে একই কায়দায় হোয়াটসআ্যপে মেসেজ করে টাকা চাওয়া হল। এর পিছনে কে বা কারা, কেন বারবার পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যানকেই এভাবে সাইবার প্রতারণার ফাঁদে ফেলা হচ্ছে, সেসব খতিয়ে দেখছে পুলিশ ও সাইবার বিশেষজ্ঞের দল।
