শ্রীকান্ত পাত্র, ঘাটাল: পায়রা, পেঁচা, ঘুঘু, বুলবুলি, কাকাতুয়া, টিয়া, টুনটুনি, হাঁস, দাহুক, মাছরাঙা, ফিঙে, পানকৌড়ি, কিউই, পেলিকান, থেকে শুরু করে চাতক, ইগল, হক, ক্রেন, এমনকি হারগিল্লা, চিল, দোয়েল…….. বলতে বলতে যখন দম নিল তখন ১১১ টা পাখির নাম বলা হয়ে গিয়েছে সোয়েতার। সময় নিয়েছে দুই মিনিট ৩৪ সেকেন্ড। আর এতেই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে (India Book of Records) নিজের নাম তুলে ফেলেছে চন্দ্রকোনা শহরের জয়ন্তীপুরের বাসিন্দা সোয়েতা দত্ত।
চন্দ্রকোণার (Chandrakona) সোয়েতার বয়স সবে সাড়ে পাঁচ বছর। শহরেরই একটি নার্সারি স্কুলের পড়ুয়া সে। বাবা অভিজিৎ দত্ত চন্দ্রকোণা মোল্লেশ্বরপুর সারদা বিদ্যাপীঠের গণিতের শিক্ষক। মা সুদেস্না দত্ত গৃহবধূ। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ির বারান্দা, ছাদে, বাড়ির লাগোয়া গাছে নানান রকমের পাখি এসে বসতো। বাবা-মা সোয়েতাকে সেই পাখিদের চিনিয়ে দিতেন। খুদে অনায়াসেই মনে রেখে দিত প্রত্যেকটার নাম। মেয়ের স্মৃতিশক্তি প্রখর তা বুঝেই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম লিখিয়েছিলেন অভিজিতবাবু। প্রাথমিক পরীক্ষার পর চূড়ান্ত পর্যায়ের জন্য মনোনীত হয়ে যায় সোয়েতা।
[আরও পড়ুন: রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া এবার বাগবাজারে, দু’মাস বৃদ্ধের কঙ্কাল আগলে বসে স্ত্রী ও মেয়ে]
গত জুন মাসের ১০ তারিখ যখন সোয়েতার স্মৃতিশক্তির পরীক্ষা হয়েছিল। তখন তাঁর বয়স ছিল ৫ বছর ৪ মাস। ১২ জুলাই, সোমবার ছোট্ট সোয়েতার বাড়িতে যখন ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের স্বীকৃতি এসে পৌঁছয় তখন নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না সোয়েতার বাবা অভিজিৎ দত্ত। সোয়েতা এখন চন্দ্রকোণা শহরের সকলের চোখের মণি। তার সঙ্গে দেখা করে গিয়েছেন চন্দ্রকোনার বিধায়ক অরূপ ধাড়া থেকে শুরু করে একাধিক গণ্যমান্য লোকজন। ভিড় জমিয়েছে সংবাদ মাধ্যমও।