সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় প্রকাশ্যে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ। সামনে আসছে প্রাক্তনী থেকে সিনিয়র ছাত্রদের ‘দাদাগিরি’র অভিযোগ। ব়্যাগিংয়ের ঘটনায় গর্জে উঠল রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন। চেয়ারম্যান অনন্যা চক্রবর্তীর প্রশ্ন, “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কি ভিনগ্রহে যে নিয়ম মানবে না?”
রবিবার রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা নিহত ছাত্রের মামার বাড়িতে যান। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তীর দাবি, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়া হয়েছিল। ওই ছাত্রটি নিজেই ভাইকে ফোন করে জানিয়েছিল তাকে সমকামী বলে মশকরা করা হত। নানাভাবে হেনস্তা করা হয়েছিল। সুতরাং তা যৌন হেনস্তার শামিল। ওই ছাত্রটি নাবালক। তাই পকসো আইনে এই ঘটনার তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। নাবালক হওয়ায় ওই ছাত্রের নাম আর উল্লেখ না করার অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘সমকামী’ নয় প্রমাণে কী করতে হয়েছিল স্বপ্নদীপকে? ভয়ংকর অভিজ্ঞতা জানালেন তাঁর সহপাঠী]
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী এবং পড়ুয়াদের একাংশের ‘স্বেচ্ছাচারিতা’ নিয়ে ক্ষুব্ধ রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন। কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস কিংবা হস্টেলে সিসিটিভি ফুটেজ নেই, তা নিয়েও উষ্মাপ্রকাশ করেন। ‘হোক কলরব’ আন্দোলনের সময় গঠিত তদন্ত কমিটিও সিসিটিভি লাগানোর দাবি করলেও তা পূরণ হয়নি বলেও জানান তিনি। প্রাক্তন উপাচার্য সুরঞ্জন দাসও চেষ্টা করে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে সিসিটিভি লাগানোয় আপত্তি ওঠে।
যাঁরা সিসিটিভি লাগাতে দেননি তাঁদের সকলের হাতে ‘রক্তের দাগ’ লেগে রয়েছে বলেও দাবি তাঁর। অনন্যাদেবীর প্রশ্ন, “যাদবপুর কি অন্য কোনও গ্রহ? দেশের আর পাঁচটা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে নিয়ম আছে, এখানে তা মানা হবে না কেন?” রবিবার বিশ্ববিদ্যালয় এবং হস্টেল চত্বরেও যাওয়ার কথা রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের। এছাড়া রাজ্যপালের কাছে এই ঘটনার তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে রিপোর্টও চাওয়া হয়েছে।
দেখুন ভিডিও:
