অর্ণব আইচ: তোলাবাজির অভিযোগে প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষের ঘনিষ্ঠ এক পুলিশ আধিকারিককে গ্রেপ্তার করল সিআইডি। গ্রেপ্তার হয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সাব ইনস্পেক্টর রাজশেখর পাইন। ভারতী ঘোষ পুলিশ সুপার থাকাকালীন খড়গপুর থানার ওসি পদে কর্মরত ছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, গত ২ ফ্রেরুয়ারি এই এসআইয়ের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিলেন সিআইডি আধিকারিকরা। বুধবার ধৃতকে আদালতে তোলা হবে।
[ভারতী ঘোষের বাড়িতে সিআইডি অভিযান, গ্রেপ্তার বেলদার ওসি প্রদীপ রথ]
তৃণমূল জমানায় ৬ বছর পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ছিলেন ভারতী ঘোষ। ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলার অতিরিক্ত দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। কিন্ত, গত ডিসেম্বর অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ পদে বদলি হওয়ার পরই পদত্যাগ করেন একসময়ের দাপুটে এই মহিলা আইপিএস অফিসারা। কিন্তু, পুলিশ সুপার থাকাকালীন ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী। তদন্তে নেমে প্রাক্তন এই আইপিএস অফিসারের কলকাতা ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বাড়িতে একযোগে তল্লাশি চালান সিআইডি আধিকারিকরা। গ্রেপ্তার করা হয় বেলদা থানার ওসি প্রদীপ রথকে। তদন্তকারীদের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে তোলাবাজি ও আয়-বর্হিভূত আয়ের অভিযোগের প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে। ওইদিন জেলার বেশ কয়েকটি থানার ওসিদের বাড়িতেও তল্লাশি হয়। তাঁদের অন্যতম ছিলেন মোহনপুর থানার পুলিশ আধিকারিক রাজশেখর পাইন। সূত্রের খবর, জেলার সদ্য প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। তখন খড়গপুর লোকাল থানা কর্মরত ছিলেন রাজশেখর। শেষপর্যন্ত, তোলাবাজির অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করল সিআইডি। তদন্তকারীদের দাবি, সমস্ত আইনি পদ্ধতি মেনেই চাকরিরত এই পুলিশ আধিকারিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে।
[ভারতী ঘোষকে নোটিস সিআইডির, অবিলম্বে হাজিরার নির্দেশ]
এদিকে তোলা্বাজির অভিযোগে তদন্তের নামে সিআইডির বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ তুলেছেন ভারতী ঘোষ। এমনকী, রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগে হাই কোর্টেরই দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁর স্বামী। সিবিআই তদন্তের আরজি জানিয়েছিলেন তিনি। পরে অবশ্য মামলাটি প্রত্যাহার করে নেন ভারতী ঘোষ।
[হার না মানা লড়াই, মাশরুম চাষে বিপ্লব এনেছেন মেটেলির প্রদীপ]
The post সিআইডির জালে ভারতী ঘনিষ্ঠ আরও এক পুলিশ আধিকারিক appeared first on Sangbad Pratidin.
