অর্ণব আইচ: 'বিষ' স্যালাইন কাণ্ডের তদন্তভার পেয়েই কোমর বেঁধেছে সিআইডি। মঙ্গলবার সকালেই ডিএসপির নেতৃত্বে তদন্তকারীদের টিম পৌঁছে যায় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। দিনভর চলে জিজ্ঞাসাবাদ। জানার চেষ্টা করা হয়, কেন ৮ জানুয়ারি ডিউটিতে ছিলেন না সিনিয়র ডাক্তার? ছুটির কথা কাকে জানিয়েছিলেন? প্রশ্ন করা হয়, জুনিয়র চিকিৎসকদের ভূমিকা নিয়েও।
সিআইডি দলের সঙ্গে রয়েছেন মেদিনীপুর ডিডিআইয়ের সদস্যরাও। সকাল থেকে ৮ জানুয়ারি রাতের অন ডিউটি আরএমও এবং দুজন জুনিয়র ডাক্তার, ৪ নার্সকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ৯ তারিখে যাঁরা চিকিৎসার দায়িত্বে ছিলেন তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ইতিমধ্যে এমএসভিপিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। মৃত প্রসূতির পরিবার এবং অসুস্থদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলবেন তাঁরা। কী কী জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা?
সেদিন রাতে আরএমও-র ডিউটি থাকার কথা থাকলেও তিনি ছিলেন না। সূত্রের খবর, সিআইডি জানতে চাইছে,
- কেন ছিলেন না আরএমও?
- কাকে জানিয়েছিলেন তিনি থাকবেন না?
- পিজিটি চিকিৎসক যাঁরা সেদিন অস্ত্রোপচার করেছিলেন, তাঁদের সেই অস্ত্রোপচার নির্দেশ তিনি দিয়েছিলেন কিনা?
প্রাথমিক অনুসন্ধান করে তিনদিনের মধ্যে রিপোর্ট সরকারকে জমা দেবে সিআইডি। তারপরই স্পষ্ট হবে এক প্রসূতির মৃত্যু এবং চার প্রসূতির অসুস্থতার নেপথ্য কারণ।
এ প্রসঙ্গে বলে রাখা দরকার, ঘটনার পরদিনই হাসপাতালে গিয়েছিল ১৫ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ বা এক্সপার্ট কমিটি। তারা স্বাস্থ্যভবনে রিপোর্ট জমা করে। এক্সপার্ট কমিটির রিপোর্টে ‘হিউম্যান এরর’- এর ইঙ্গিত মিলেছে। বিস্তারিত রিপোর্ট এলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেছে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। নিয়ম বলছে, একজন সিনিয়র চিকিৎসকের নেতৃত্বে জুনিয়র ডাক্তাররা অপারেশন করেন। কিন্তু সেদিন সিনিয়র ডাক্তার অনুপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারও গাফিলতি ধরা পড়লে বরদাস্ত করা হবে না সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যসচিব।