দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: CAA ও NRC’র সমর্থনে বিজেপির মিছিলকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র চেহারা নিল হুগলির উত্তরপাড়া এলাকা। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়লেন বিজেপির কর্মীরা। পুলিশ মিছিলে বাধা দেওয়ায় রাস্তা আটকে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান বিজেপির নেতা-কর্মীরা। বাধার মুখে বাতিল করা হয় মিছিল।
নাগরিকত্ব আইন ইস্যুতে ফুঁসছে গোটা দেশ। আন্দোলনকারী-পুলিশের খণ্ডযুদ্ধে উত্তাল দেশের একাধিক রাজ্য। পশ্চিমবঙ্গ থেকে শুরু করে উত্তরপ্রদেশ সব জায়গা কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে। আইন বিরোধিদের বিক্ষোভ-সংঘর্ষ-অবরোধে কার্যত স্তব্ধ জনজীবন। প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। আবার আইনের সমর্থনেও পথে নামছে বহু মানুষ। রবিবার বিজেপির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার পক্ষ থেকে CAA ও NRC’র সমর্থনে এলাকায় একটি মিছিলের আয়োজন করেছিল গেরুয়া শিবির। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শ্যামল বসু, রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসু-সহ বিজেপির একাধিক নেতা-কর্মী। অভিযোগ, অনুমতি না থাকায় রবিবার মিছিল শুরুর আগেই বাধা দেয় পুলিশ।
[আরও পড়ুন: বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে নাবালিকা প্রেমিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৫ আদিবাসী যুবক]
বাধার মুখে পড়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। এরপরই রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শ্যামল বসু, সায়ন্তন বসু-সহ বিজেপি কর্মীরা। দীর্ঘক্ষণ চলে বিক্ষোভ। পড়ে মিছিল না করেই ফিরতে বাধ্য হয় গেরুয়া শিবির। সায়ন্তন বসুর কথায়, “নাগরিকত্ব আইন হিন্দু বাঙালি, বাঙালি উদ্বাস্তুদের জন্য, তা সত্ত্বেও বহু মানুষ অকারণে ভয় পাচ্ছেন, তাদের সাহস যোগাতেই পথে নেমেছিলাম। পুলিশকে যথেষ্ট তথ্য দেওয়া ছিল। তা সত্ত্বেও আটকানো হল মিছিল।” একাধিকবার মিছিল করতে দেওয়া হোক, পুলিশের কাছে এই দাবি জানান সায়ন্তন বসু-সহ অন্যান্যরা। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেননি পুলিশ আধিকারিকরা। পুলিশি বাধার মুখে বাধ্য হয়ে পিছু হটতে হয় তাঁদের। মিছিল না করেই ফেরে গেরুয়া শিবিরের কর্মীরা।
The post CAA’র সমর্থনে বিজেপির মিছিলে বাধা, উত্তরপাড়ায় রাস্তা আটকে বিক্ষোভ appeared first on Sangbad Pratidin.
