চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: তৃণমূল (TMC) এবং সিপিএম (CPM) সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল জামুড়িয়ার কেন্দা গ্রাম। একাধিক বাড়িতে ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ। বোমাবাজিরও অভিযোগ উঠেছে একে অপরের বিরুদ্ধে। ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
ঘটনা সূত্রপাত বৃহস্পতিবার সন্ধেয়। অভিযোগ, সিপিএম সমর্থক রহিত বাউড়িকে আটকে কয়েকজন তৃণমূল কর্মী টিপ্পনি কাটে। তাঁর পরিবারের লোকজন কেন ভোটে সিপিএমের পোলিং এজেন্ট হিসাবে বসেছিলেন, সেই কৈফিয়ত চাওয়া হয়। বচসা থেকে বিবাদে জড়ায় দুই পক্ষ। অভিযোগ রোহিতকে বেধড়ক মারধর করা হয়। রোহিত ফিরে এসে পাড়ার লোকজনদের ঘটনাটি জানান। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে প্রাথমিক তদন্তে। এরপর পাড়ার লোকজনেরা জোট বেঁধে জামুড়িয়া (Jamuria) থানার কেন্দা ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করতে যায়। অভিযোগ, সেই সময় ফাঁকা পাড়াতে ফের হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বোমা, রড, ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করা হয়। প্রাক্তন সিপিএম পঞ্চায়েত প্রধান শান্ত্বনা বাউড়ির বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। পরিবারের সদস্যদের মারধর করা হয়। তিনটি মোটর বাইকে আগুন ধরিয়েও দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় একটি চারচাকা গাড়িতে এবং টোটোতেও। অভিযোগ ওঠে এই ঘটনার নেতৃত্বে ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা রূপম ভট্টাচার্য।
[আরও পড়ুন: রেল অবরোধ-পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর-পাথর বৃষ্টি, লোকাল চালুর দাবিতে মল্লিকপুরে ধুন্ধুমার]
অন্যদিকে অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেতা রূপমের পরিবারের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে তাঁদের বাড়িতে দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। পরে পুলিশ এসে গালিগালাজ করে রূপমের বৃদ্ধ বাবাকে তুলে নিয়ে যায়। দু’পক্ষের তাণ্ডবের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। তবে ব্লক তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি দুই মদ্যপের বচসা থেকে এই ঘটনা ঘটেছে। তৃণমূলের যোগ নেই। বরং ওই মদ্যপরা আগে সিপিএম কর্মী ছিলেন। তারাই এখন বিজেপি হয়েছে। তারাই তৃণমূল সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়েছে। অশান্তির জেরে শুক্রবার সকাল থেকেই থমথমে গোটা এলাকা। নতুন করে যাতে আর অশান্তি না হয় তাই এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।
দেখুন ভিডিও: