সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অতিবৃষ্টিতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার অবস্থা ভয়াবহ। জলে ভাসছে চতুর্দিক। আকাশপথে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। এরপর হুগলির আরামবাগে প্রশাসনিক বৈঠকেও তাঁর যোগ দেওয়ার কথা।
নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী শনিবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ কালীঘাটের বাসভবন থেকে বেরোন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সড়কপথে সোজা ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে পৌঁছন তিনি। বেলা ১২টা ১মিনিটে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে হেলিকপ্টারে চড়ে বাঁকুড়ার বড়জোড়ার উদ্দেশে রওনা হন মুখ্যমন্ত্রী। বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান হয়ে হুগলির বন্যা পরিস্থিতি (Flood Situation) খতিয়ে দেখার কথা তাঁর। আরামবাগ পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে পৌঁছনোর কথা মুখ্যমন্ত্রীর। সেখানে বৈঠক করবেন তিনি। এরপর ফিরবেন নবান্নে। সেখানেও প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর।
[আরও পড়ুন: অতিবৃষ্টিতে জলমগ্ন পুকুর ও ভেড়ি, পুজোয় মাছের জোগানে ঘাটতির আশঙ্কা]
এই প্লাবনের জন্য শুক্রবার ডিভিসিকেই (DVC) দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “এটা ম্যান মেড বন্যা। ঝাড়খণ্ডের জন্য আমাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ডিভিসির সঙ্গে একাধিকবার কথা বলা হয়েছে। কোনও লাভ হয়নি। মাঝরাতে জল ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। আমরা কোনও ব্যবস্থা নিতে পারছি না। আমাদের সঙ্গে অন্যায় হচ্ছে।” পাশাপাশি প্লাবিতদের জন্য সাহায্যের আরজি জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এ নিয়ে বিরোধীরা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। কংগ্রেস ও বিজেপি বন্যা পরিস্থিতি তৈরির জন্য একযোগে রাজ্য সরকারকে দুষেছে। বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষও রাজ্য সরকারকে তোপ দাগেন। তাঁর দাবি, বাঁধ মেরামতি না করার ফলেই দুর্ভোগ।
এদিকে, শনিবার সকালে বন্যা পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি। তবে ডিভিসি থেকে কমেছে জল ছাড়ার পরিমাণও। শনিবার সকালে ১,৫৫,৪০০ কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছিল। বেলা বাড়তে তা আরও কিছুটা কমিয়ে ১,৪৬,৪০০ কিউসেক করা হয়। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মহালয়া পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে উত্তরের জেলাগুলি পুজোর মুখে বৃষ্টিতে ভেজার আশঙ্কা।