সৌরভ মাঝি, বর্ধমান: ফের চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠল নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে গর্ভস্থ শিশুর মৃত্যুকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল বর্ধমানের জেবি মিত্র লেনের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে। প্রসূতি বিভাগের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন রোগীর পরিবারের লোকজন ও আত্মীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে তারা। বর্ধমান থানার পুলিশ চিকিৎসার গাফিলতিতে মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। তবে এই ধারাটি জামিনযোগ্য।
[ কুসংস্কারের শিকার শিশু, পোড়া চামড়া ব্লেড দিয়ে কেটে নারকেল তেল লাগিয়ে দিল ওঝা ]
জানা গিয়েছে, বর্ধমান শহরের লাকুড্ডি এলাকার শিল্পী সাহা সন্তানসম্ভবা হওয়ার পর থেকেই শহরের তপন মণ্ডল নামে এক প্রসূতি বিশেষজ্ঞ দেখাচ্ছেন। গত ২২ মে তাঁর সন্তান প্রসবের সম্ভাব্য তারিখ ছিল। কিন্তু চিকিৎসক কিছু পরীক্ষার পর জানিয়ে দেন, ২৯ মে প্রসব করানো হবে। কিন্তু পরে তিনি জানান, ডেলিভারি ডেট সোমবার। সেই অনুযায়ী শনিবার জেবি মিত্র লেনের ওই বেসরকারি নার্সিংহোমে ভরতি করানো হয় শিল্পীকে। পরিবারের অভিযোগ, অস্ত্রোপচার করে সন্তান প্রসব করানোর জন্য ওই চিকিৎসককে বারবার তাঁরা বললেও তাতে কর্ণপাত করেননি তিনি। এও অভিযোগ, ওই চিকিৎসক অস্ত্রোপচার না করেই সন্তানপ্রসব করানো হবে বলে জানান।
[ ফাঁকা বাড়িতে মূক ও বধির তরুণীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধ ]
রবিবার রাত ন’টা নাগাদ চিকিৎসক প্রসূতিকে দেখেন। কিছু পরীক্ষার পর তিনি জানিয়ে দেন, গর্ভস্থ সন্তান মারা গিয়েছে। এর পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন রোগীর পরিজনরা। খবর পেয়ে তাঁদের আত্মীয়রাও ভিড় করেন ওই নার্সিংহোমে। উত্তেজনা বাড়তে থাকায় বর্ধমান থানায় পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। মৃতের শ্বশুর অসীম সাহা চিকিৎসক তপন মণ্ডলের বিরুদ্ধে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরে ওই প্রসূতির অস্ত্রোপচার করে গর্ভস্থ মৃত সন্তানকে বের করা হয়। সোমবার বর্ধমান মেডিক্যালে মৃত শিশুর ময়নাতদন্ত হয়েছে। অভিযুক্ত চিকিৎসকের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন পরিবারের লোকজন। তবে এবিষয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসকের কী মতামত, তা জানা যায়নি। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
The post চিকিৎসার গাফিলতিতে গর্ভস্থ সন্তানের মৃত্যুর অভিযোগ, উত্তপ্ত বর্ধমানের নার্সিংহোম appeared first on Sangbad Pratidin.
