অসিত রজক, বিষ্ণুপুর: বিধবা তরুণীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়েছিলেন বিবাহিত এক যুবক। সেই কথা জানাজানি হতেই ওই যুবকের বাড়িতে নিয়মিত অশান্তি চলছিল। তাও সেই পরকীয়ার টান কাটয়ে বেরিয়ে আসেননি যুবক! গত পাঁচদিন আগে দু'জনেই নিখোঁজ হয়ে যান। শেষপর্যন্ত জঙ্গলের মধ্যে থেকে উদ্ধার হল যুগলের দেহ! চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার (Bankura) সোনামুখী এলাকায়। খুন নাকি আত্মহত্যা? সেই প্রশ্ন উঠেছে। সোনামুখী থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
মৃত ওই যুগলের নাম কৃষ্ণা বাউরি ও জয়ন্ত বাউরি। দু'জনের বাড়িই সোনামুখীর রফটগঞ্জ এলাকায়। শিবেরবাঁধ গ্রামের পাশের জঙ্গলে ওই যুগলের দেহ দেখতে পাওয়া যায়। কয়েকজন গ্রামবাসী কাঠ কুড়নোর জন্য জঙ্গলে গিয়েছিলেন। সেসময় গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ওই যুগলের মৃতদেহ তাঁরা ঝুলতে দেখেন। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ওই যুগলের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ২৪ বয়সের কৃষ্ণা বাউরির স্বামী একবছর আগে মারা গিয়েছেন। স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি রফটগঞ্জ এলাকার বাপেরবাড়িতে এসে থাকতে শুরু করেন। ওই এলাকাতেই থাকতেন বছর ২৬ বয়সের জয়ন্ত। তাঁদের দু'জনের মধ্যে পরিচয় ও পরে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। জয়ন্ত বিবাহিত, তাঁর একটি সন্তানও আছে। স্বামী এক বিধবার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে সেই কথা জয়ন্তের স্ত্রী জানতে পেরেছিলেন। এরপর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে নিত্যদিন অশান্তি চলত বলে খবর। বেশ কয়েক মাস ধরে এই পরকীয়ার সম্পর্ক চলছিল! এই নিয়ে অশান্তিও বাড়তে থাকে।
দুই পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, গত পাঁচদিন আগে দু'জনেই নিখোঁজ হয়ে যান। জয়ন্তের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করে পাওয়া যায়নি। ফোন বন্ধ ছিল। মৃত জয়ন্তের পিতা রমন বাউরি বলেন, "গত ৯ ডিসেম্বর বাড়ি থেকে বলে বেরিয়েছিল কলকাতায় কাজে যাচ্ছি। সেই মতো বাড়ি থেকে জামাকাপড়ও নিয়েছিল। যাওয়ার দু'দিন পর থেকে ফোন সুইচড অফ ছিল। ১৪ তারিখে সোনামুখী থানায় একটি নিখোঁজ অভিযোগ করা হয়।" দু'জনে কি জঙ্গলে গিয়ে গলায় দড়ি দিয়ে 'আত্মহত্যা' করেছেন? নাকি তাঁদের খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে? সেই বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। ঘটনা জানাজানি হতে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
