shono
Advertisement

দিল্লিতে মৃত্যু হলদিয়ার ক্যানসার রোগীর, বাংলায় প্রবেশের মুখে ৬ ঘণ্টা আটকে অ্যাম্বুল্যান্স

নবান্নের তৎপরতায় শেষ পর্যন্ত অ্যাম্বুল্যান্সটি ছেড়ে দেওয়া হয়। The post দিল্লিতে মৃত্যু হলদিয়ার ক্যানসার রোগীর, বাংলায় প্রবেশের মুখে ৬ ঘণ্টা আটকে অ্যাম্বুল্যান্স appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 05:41 PM May 02, 2020Updated: 06:48 PM May 02, 2020

চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: দিল্লির AIMSএ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে হলদিয়ার ক্যানসার আক্রান্ত এক ব্যক্তির। অ্যাম্বুল্যান্সে দেহ নিয়ে ফেরার পথে লকডাউনের গেরোয় পড়লেন স্ত্রী। আসানসোলের কাছে ঝাড়খণ্ড-বাংলা সীমানায় দেহ আটকে দিল পুলিশ। গাড়ি যেতে দেওয়ার অনুমতি চেয়ে পুলিশের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়লেন অসহায় মহিলা। সংবাদমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিষয়টি নিয়ে শোরগোল শুরু হয়। নবান্নেও পৌঁছয় খবর। তারপরই অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে লকডাউনের যাবতীয় নিয়ম কার্যকর করে অ্যাম্বুল্যান্সটি ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে তাতেও স্বস্তি মিলল না। কিছু দূর গিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স বিকল হয়ে থমকে গেল যাত্রা।

Advertisement

পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ার বাসিন্দা বছর পঞ্চান্নর মানস বয়াল ব্রেন ক্যানসারে ভুগছিলেন। মার্চের ১৭ তারিখ তাঁকে নিয়ে দিল্লির এইমসে চিকিৎসা করাতে যান স্ত্রী। সেখানে মাসখানেকেরও বেশি সময় ধরে চিকিৎসা চলে। শেষের দিকে এইমস থেকে তাঁকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসার পরামর্শ দেওয়া হয়। শুক্রবার ভোরে ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধে হার মেনে নেন মানসবাবু। মৃত্যুর পর শুক্রবারই অ্যাম্বুল্যান্স-সহ দেহ হলদিয়ায় ফিরিয়ে আনার যাবতীয় বন্দোবস্ত করে রওনা হন তাঁর স্ত্রী। সঙ্গে ছিল সমস্ত দরকারি কাগজপত্র। এমনকী দিল্লিতে চিকিৎসারত অবস্থায় মানসবাবুর COVID-19 পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্টও হাতের কাছেই রেখেছিলেন স্ত্রী। যদি প্রয়োজনে সেই প্রমাণ দিতে হয়, এই ভেবে। দিল্লি থেকে ফেরার পথে কোথাও কোনও বাধার মুখে পড়েনি অ্যাম্বুল্যান্স।

[আরও পড়ুন: কোটা থেকে বিষ্ণুপুরে ফিরল পড়ুয়ারা, মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানালেন অভিভাবকরা]

বাধা পড়ল ঝাড়খণ্ড থেকে বাংলায় প্রবেশের মুখে। ২নং জাতীয় সড়কের উপর অ্যাম্বুল্যান্সটি আটকানো হয়। রাজ্য পুলিশের তরফে তাঁর স্ত্রীকে জানানো হয়, নিয়ম মেনেই তা আটকানো হয়েছে। লকডাউনের নিয়ম অনুযায়ী, যে জেলায় যাওয়া হচ্ছে, সেই জেলায় প্রবেশের জন্য পুলিশ সুপার অথবা উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকের অনুমতি প্রয়োজন। তা না হলে আটকে থাকতে হবে। মানসবাবুর অসহায় স্ত্রী জানান যে তিনি এই নিয়মকানুন বিশেষ জানেন না। তাই পুলিশই যেন সেসব ব্যবস্থা করে দেন। কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ তাঁদের অপেক্ষা করতে বলেন। এভাবেই কেটে যায় প্রায় ৬ ঘণ্টা। অসহায় মহিলা রীতিমতো কান্নাকাটি করে অ্যাম্বুল্যান্স ছেড়ে দেওয়ার আবেদন জানাতে থাকেন।

[আরও পড়ুন: সীমান্ত বাণিজ্যে অসাধু-যোগ, অভিযোগে আমদানি-রপ্তানি বন্ধের দাবিতে শ্রমিক বিক্ষোভ]

ইতিমধ্যে বিষয়টি সংবাদমাধ্যমের নজরে আসে। খবর ছড়িয়ে পড়ে। লকডাউনের গেরোয় এভাবে অ্যাম্বুল্যান্স আটকানোর জেরে বিপদে পড়েছেন মহিলা, এই খবর পৌঁছে যায় নবান্নেও। এরপরই অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের তরফে দ্রুত সমস্ত কাজ হয়। ছেড়ে দেওয়া হয় অ্যাম্বুল্যান্সটি। কিন্তু সমস্যা এখানেই কেটে যায়নি। ২ নং জাতীয় সড়কের উপর ডুবুডি চেক পোস্ট থেকে অ্যাম্বুল্যান্সটি কিছুটা এগিয়ে যাওয়ার পর তা বিকল হয়ে যায়। লকডাউনের জেরে কোনও মেকানিকও খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফলে বিপদ আরও বেড়েছে। এখনও হলদিয়া পৌঁছতে আরও ৩০০ কিমি পাড়ি দিতে হবে। কিন্তু কীভাবে পৌঁছবেন, তা নিয়ে এখনও ঘোর অনিশ্চয়তায়।

The post দিল্লিতে মৃত্যু হলদিয়ার ক্যানসার রোগীর, বাংলায় প্রবেশের মুখে ৬ ঘণ্টা আটকে অ্যাম্বুল্যান্স appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement