আকাশনীল ভট্টাচার্য, ব্যারাকপুর: বিবাহিত মেয়ের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক ছিল না। সরকারি আবাসনে একাই থাকতেন বাহাত্তর বছরের বৃদ্ধা আলো মজুমদার। আবাসনের দোতলার ঘর থেকে ওই বৃদ্ধার নিথর দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরে।
[ইস্কন মন্দিরে সন্ন্যাসীর রহস্যমৃত্যু, ছড়াল চাঞ্চল্য]
মৃত আলোদেবী রাজ্য সরকারি কর্মচারী ছিলেন। প্রায় ২৫ বছর ধরে সোদপুরে সরকারি আবাসন থাকতেন তিনি। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ওই বৃদ্ধার স্বামীকে তাঁরা দেখেননি। একমাত্র মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তিনি সল্টলেকে থাকেন। মা-মেয়ের কোনও সম্পর্ক ছিল না। সোদপুরের সরকারি আবাসনে দোতলার একটি ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন ওই বৃদ্ধা। তবে তাঁর এক ভাইপো সুমিত ও তাঁর স্ত্রী রত্মা মাঝেমধ্যে আলোদেবীর কাছে এসে থাকতেন। টাকা-পয়সা নিয়ে পিসি আর ভাইপোর অশান্তিও হত। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, টাকার জন্য আলোদেবীকে মারধরও করতেন ভাইপো সুমিত। এমনকী, ইদানিং ওই বৃদ্ধাকে নাকি রাস্তায় ভিক্ষা করতেও দেখা গিয়েছিল। সোমবার আলো মজুমদারকে শেষবার দেখেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বুধবার সন্ধ্যে থেকে তাঁর ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ বেরোতে শুরু করে। এরপরই খড়দহ থানায় খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে সত্তরোর্ধ্ব ওই বৃদ্ধার পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
[সম্পত্তির জন্য মায়ের সামনেই বোনকে কুপিয়ে খুন দাদার]
সরকারি আবাসন থেকে বৃদ্ধার পচাগলা দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকা। এটা খুন না আত্মহত্যা, তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের বক্তব্য, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে খড়দহ থানার পুলিশ। ভাইপোর সঙ্গে ওই বৃদ্ধার সম্পর্ক যে একেবারেই ভাল ছিল না, প্রাথমিক তদন্তে তা জানতে পেরেছে পুলিশ। ভাইপো সুমিতের সন্ধানে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
[দুধ বাড়ন্ত, বিধানসভার দখল নিল ‘বামপন্থী’ লাল চা]
The post সরকারি আবাসনে বৃদ্ধার পচাগলা দেহ, চাঞ্চল্য সোদপুরে appeared first on Sangbad Pratidin.
