shono
Advertisement

মদের আসরে পুলিশের হানা, ছুটে পালাতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত ব্যক্তি

যুবকের মৃত্যুর পর পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়াল এলাকায়।
Posted: 03:12 PM Mar 19, 2024Updated: 06:41 PM Mar 19, 2024

সুব্রত বিশ্বাস: সবে মাত্র জমে উঠেছিল মদের আসর। আর সেসময়ই পুলিশের হানা। পড়ি কী মরি করে ছুটে পালাতে যান সেই আসরের লোকজন। পাশেই রেললাইন, সেখানেই উঠে পড়েন তাঁরা। আর সাক্ষাৎ শমনের মতো তীব্র গতিতে ছুটে আসে আপ কামরূপ এক্সপ্রেস। ট্রেনের ধাক্কায় একেবারে উড়ে গিয়ে পাশের ছোট রাস্তায় পড়েন এক মদ্যপ। সোমবার রাতে বর্ধমান ও নদিয়ার দুটি স্টেশন – সমুদ্রগড় ও কালীনগরে মাঝে এই দুর্ঘটনায় তীব্র ক্ষোভের পরিবেশ দেখা যায়। কালনা রেল পুলিশ ও নাদনঘাট পুলিশ গুরুতর আহতকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁর মৃত্যু (Death) হয়। মৃতের নাম পবন হালদার, বয়স ৪৫ বছর। 

Advertisement

এই ঘটনার পর এলাকাবাসী নাদনঘাট পুলিশকে মৃত্যুর জন্য দায়ী করে সড়কপথ (Road Block) অবরোধ করেন। রেল পুলিশ জানিয়েছে, লাইনের ধারের মাঠে মদের আসর চলছিল। এসময় নাদনঘাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পড়লে মদের আসর ছেড়ে দৌড় দেয় লোকজন। লাইনে উঠে পড়েন পবন। কিন্তু বুঝতেও পারেননি কখন তীব্র গতিবেগে ট্রেন এসে পড়েছে কাছে। আর তা দেখতে না পেয়ে ট্রেনে ধাক্কা খান (Run over by train) পবন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয় তাঁর।

[আরও পড়ুন: মানুষের জীবন আগে, বেআইনি নির্মাণ ভাঙা আটকাব না! সাফ জানালেন বিচারপতি সিনহা]

পবনের মৃত্যুর পর ক্ষিপ্ত মানুষজন রাস্তা অবরোধ করে। দুর্ঘটনার জন্য পুলিশকে দায়ী করেন তাঁরা। যদিও রেল পুলিশ নাদনঘাট পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করেনি। তাদের কথায়, পুলিশের গাড়ি দেখে কেউ দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে ট্রেনে কাটা পড়লে পুলিশের কী দোষ? বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই সব অঞ্চলে মদ, গাঁজা বিক্রি হয় প্রচুর। পুলিশ সেসব রুখতে নিষ্ক্রিয়। ফলে দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। তাঁদের আরও বক্তব্য, এসব বিক্রিতে দোষ নেই, অথচ খেলেই পুলিশ তাঁকে ধরে নানা অজুহাতে টাকা নেয়। তাই পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে পালানোর পথ নিয়েছিলেন পবন। যার পরিণাম হল মৃত্যু। 

[আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফের রাজ্যের ডিজি বদল, বিবেকের বদলে সঞ্জয়, কেন?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement