shono
Advertisement

Breaking News

Bangladesh

টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশিদের ভুয়ো পরিপত্র, বাগদায় পুলিশি তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য

১০ থেকে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে তৈরি হত এই ভুয়ো আধার, ভোটার কার্ড। উদ্ধার একাধিক নথি।
Published By: Suhrid DasPosted: 05:56 PM Dec 17, 2024Updated: 05:56 PM Dec 17, 2024

জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: বাগদায় রোগী কল্যাণ সমিতির অস্থায়ী কর্মী অসিত দাস গ্রেপ্তার হতেই সামনে আসতে শুরু করেছে একাধিক তথ্য। বাংলাদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের জাল পরিচয়পত্র বানিয়ে দেওয়া হত টাকার বিনিময়ে। স্বাস্থ্যকর্মী হওয়ার সুবাধে এই কাজ আরও সহজে করত সে। এমন বিষয়ও পুলিশের তদন্তে সামনে আসছে। ভুয়ো বার্থ সার্টিফিকেট ছাড়াও আধার কার্ড, ভোটার কার্ডও তৈরি হত বলে খবর।

Advertisement

ধৃত অসিত বাগদা হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ করত। তার কাছে দৈনিক বহু মানুষ জন্মসংশাপত্র তৈরির প্রয়োজন আসতেন। তাদের মধ্যে বহু বাংলাদেশিরা থাকতেন বলে খবর| অভিযোগ, বাগদা হাসপাতালে বসে কাজ করার সুযোগকে সে কাজে লাগায়। ভুয়ো জন্মশংসাপত্র, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড বাংলাদেশিদের কাছে চড়া দামে বিক্রি হত। ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা ভুয়ো পরিচয়পত্র তৈরির কাজে নেওয়া হত বলেও খবর। যাদের টাকা দেওয়ার সামর্থ নেই, তাঁদের থেকে দুই থেকে চার টাকা নেওয়া হত।

সুমনকুমার ঘোষ নামে আরও এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর জাল নথি উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, এই দুজন নয়। একটা বড় চক্র এখানে কাজ করছে। এই জাল কতটা দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে? সেই তথ্যই এখন জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। ধৃতরা এই চক্রের পাণ্ডা। প্রাথমিকভাবে সেই কথাও মনে করা হচ্ছে।
ধৃত দুই ব্যক্তি বাগদার বারানসীপুর এবং উত্তর কুলবেরিয়া এলাকার বাসিন্দা। বাগদা বাজার ও চ্যাঙ্গা বটতলা এলাকায় অসিত ও সুমনের দুটি দোকান আছে। সেখানে জেরক্স, স্ক্যান, প্রিন্ট আউট হত। আর সেই সবের আড়ালে ওই অসাধু কাজ হত। সেই তথ্যও পুলিশি তদন্তে সামনে আসছে। এখন অবধি বাংলাদেশের কত মানুষকে ভুয়ো নথি তৈরি করে দেওয়া হয়েছে? সেই মোটা টাকা কোথায় গেল? সেই সব তথ্য জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর| বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দেবদাস মণ্ডলের অভিযোগ, তৃণমূল নেতাদের মদতেই এই কাজ চলত। যদিও তৃণমূল সেই কথা মানতে চায়নি। বাগদা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি সঞ্জীব সর্দারের দাবি, ওই ব্যক্তি আগে সিপিএম করত। এখন বিজেপির সঙ্গে যুক্ত সে। যারা এই কাজে যুক্ত রয়েছে, তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করার দাবি তোলা হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • পুলিশের তদন্তে সামনে আসছে একাধিক তথ্য।
  • জাল নথি তৈরি হত দিনের পর দিন।
  • শুরু হয়েছে বিজেপি-তৃণমূল রাজনৈতিক তরজা।
Advertisement