সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: নাবালিকাকে যৌন হেনস্তার অভিযোগে দায়ের হয়েছিল মামলা। অভিযোগ সামনে আসতেই পালিয়ে যান অভিযুক্ত। এদিকে ওই যৌন হেনস্তার অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছিল অভিযুক্তের পরিবার। শেষপর্যন্ত অভিযুক্ত বিষ খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে ক্ষোভ ছড়াল এলাকায়। এই প্রেক্ষিতে অভিযোগকারী নাবালিকার বাড়িতে হামলা চলল। আগুন দেওয়া হল বাড়িতে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার গাঙনাপুর থানার পূর্ব নগর এলাকায়।

নাবালিকা নিগ্রহের ঘটনাটি ফেব্রুয়ারি মাসের একদম শেষদিকের। ওই এলাকার বাসিন্দা বছর ৫২-এর মনোয়ার তরফদার পেশায় কাঠমিস্ত্রি। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিবেশী এক নাবালিকাকে হেনস্তার অভিযোগ ওঠে। গাংনাপুর থানায় পকসো ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ ওঠার পর থেকেই মনোয়ার তরফদার এলাকাছাড়া ছিলেন। ওই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করা হয় ওই ব্যক্তির পরিবারের তরফে। শুধু তাই নয়, মনোয়ার তরফদারকে প্রায়শই ফোনে হুমকি দিয়ে টাকাও চাওয়া হত বলে অভিযোগ।
পরিস্থিতির কোনও সুরাহা না হওয়ায় গত সাতদিন আগে ওই ব্যক্তি বিষ খান বলে অভিযোগ। তাঁকে উদ্ধার করে কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। যমে-মানুষে টানাটানির পর গতকাল সোমবার মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। মৃত্যুর কথা জানাজানির পর থেকেই এলাকায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবার পূর্ব নগর এলাকায় তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। যে পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিল, তাদের বাড়িতে হামলা হয়। মৃতের পরিবারের সদস্যরা ও প্রতিবেশীরা এই হামলা চালায় বলে অভিযোগ। বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে খবর।
খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। নেভানো হয় বাড়ির আগুন। বেশ কিছু সময়ের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে গোটা ঘটনায় এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। গোটা ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।