রাজা দাস, বালুরঘাট: পৌর হাসপাতাল ও মাতৃসদনের অদূরে থাকা আত্রেয়ী নদীর ধার থেকে উদ্ধার ভ্রূণ। এই বিতর্কে ফের শিরোনামে বালুরঘাট পুরসভা পরিচালিত ওই হাসপাতাল। টাকার বিনিময়ে ওই হাসপাতালে বেআইনিভাবে গর্ভপাত করা হয় কিনা তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। তবে পুর হাসপাতালকে কেউ কালিমালিপ্ত করতে এমনটা করতে পারে বলেই সন্দেহ চেয়ারম্যান অশোক মিত্রের।
বুধবার একটি সারমেয় আত্রেয়ী সেতুর পাশে মুখে করে ভ্রূণ নিয়ে ঘুরছিল। স্থানীয়দের তাড়া খেয়েই কুকুরটি সেই ভ্রূণটি মাটিতে ফেলে দেয়। নিমেষেই ওই এলাকায় জড়ো হয়ে যান বহু মানুষ। শোরগোল পড়তেই খবর যায় বালুরঘাট থানায়। পুলিশ গিয়ে ভ্রূণটি উদ্ধার করে। বালুরঘাটের আত্রেয়ী নদী বাঁধ সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে বালুরঘাট পৌরসভার হাসপাতাল ও মাতৃসদন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমান, ওই হাসপাতাল থেকেই ভ্রূণ এসেছে। স্থানীয় বাসিন্দা সৃঞ্জয় স্যান্যাল, অঞ্জলি শিং বলেন, “পুরসভার হাসপাতাল থেকে এটি আসতে পারে। পুলিশ তদন্ত করুক। এসব বেআইনি কাজের সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের শাস্তি হোক।” তবে পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র এই অভিযোগ খারিজ করেছেন। তিনি বলেন, “বিষয়টি খোঁজ নিয়েছি। ঘটনাটি অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং অবাঞ্ছিত। পুলিশ তদন্ত করছে। দোষীদের বিরুদ্ধে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেবে।”
[আরও পড়ুন: ডেকে নিয়ে গিয়ে তৃতীয় বর্ষের ছাত্রকে মার, কীটনাশক খাইয়ে ‘খুন’! কাঠগড়ায় প্রেমিকা ও পরিবার]
দিনকয়েক আগে এই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসার পরেও টাকার দাবি করার অভিযোগ ওঠে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অস্ত্রোপচারের জন্য স্বাস্থ্যসাথী কার্ড জমা নেওয়ার পরেও অন্যায়ভাবে টাকা চাওয়ার অভিযোগ ওঠে। পৌর হাসপাতাল ও মাতৃসদনের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধেই মূলত অভিযোগ ওঠে। গত শনিবারের ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। তারই মাঝে ফের ভ্রূণ উদ্ধারের ঘটনায় বিতর্কে বালুরঘাট পুরসভার ওই হাসপাতাল।
