সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় মাত্রেই বানর সেনার বিষয়ে অবগত। তাদের বীরত্ব ঠিক কতখানি, এবার তা হাতে-কলমে দেখা গেল ওড়িশার কেন্দ্রপাড়া জেলার মহাকালপাড়া এলাকায়। সেখানে নদীতে পড়ে গিয়েছিল একটি বাঁদর। ওমনি সে ভয়ংকর কুমিরের হামলার মুখে পড়ে। চোখের নিমেষে বাঁদরটিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল কুমির। তাকে বাঁচাতে মরণপণ লড়াই চালাল বাঁদরের একটি বিরাট দল। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, একসঙ্গে প্রায় হাজার দুয়েক বাঁদর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল নদীতে। তাতে কি রক্ষা পেল আক্রান্ত বাঁদর?
মহাকালপাড়া এলাকায় বয়ে গিয়েছে মহানদীর শাখা নদী খড়িনাসি। পাড়ঘেঁষা গাছপালা বাঁদরের বাসভূমি। খড়িনাসি পাড়ে একটি বাঁদরকে আচমকা আক্রমণ করে একটি কুমির। শুরুতে যা চোখে পড়েনি তার সঙ্গীদের। এর মধ্যেই বাঁদরটিকে জলে টেনে নামায় কুমিরটি। খেয়াল করা মাত্র বিপদে পড়া সঙ্গীকে বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঁদরের দল। একের পর এক বাঁদর পাড় থেকে লাফিয়ে দিতে থাকে খড়িনাসিতে। শুরু হয় কুমির-বাঁদর ধুন্ধুমার যুদ্ধ। শেষ পর্যন্ত অবশ্য জলে কুমিরের আধিপত্য এবং শক্তির কাছে পেরে ওঠেনি বাঁদরের দল।
যদিও ভাইরাল হয়েছে ওড়িশার ভিতরকণিকা ন্যাশনাল পার্কে বাঁদরসেনা ও কুমিরের এই যুদ্ধ। যেখানে দেখা গিয়েছে, সঙ্গীকে বাঁচাতে জল ঝাঁপ দিচ্ছে, সাঁতার কেটে কুমিরের সঙ্গে লড়াই চালাচ্ছে অসংখ্য বাঁদর। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বাঁদরের সংখ্যা দুই হাজারের বেশি ছিল। উল্লেখ্য, ওড়িশার ভিতরকণিকা ন্যাশনাল পার্ক ভারতের বৃহত্তম নোনা জলের কুমিরের আবাসস্থল। সেখান থেকে মহানদী ও তার শাখা নদীগুলোতে কুমিরের আনাগোনা প্রায়শই দেখা যায়। সম্প্রতি বন্যার কারণে এই সরীসৃপগুলো জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়েও ঢুকে পড়ে।
