সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ন্যাজাট কাণ্ডে প্রথম গ্রেপ্তারি। শেখ শাহজাহান মামলার সাক্ষী ভোলা ঘোষকে খুনের পরিকল্পনার অভিযোগের তদন্তে নেমে সরবেড়িয়া থেকে এক যুবককে গ্রেপ্তার করল ন্যাজাট থানার পুলিশ। তাঁকে হেফাজতে নিতে আজ, শনিবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম রুহুল কুদ্দুস শেখ। পুলিশি তদন্তে উঠে আসে রুহুলের নাম। তবে ধৃতের বিরুদ্ধে ভোলা বা তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি। তবে তদন্তে রুহুলের নাম উঠে আসে। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে অন্যান্য অভিযুক্তের হদিশ পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
রহস্যজনক গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত সিবিআইয়ের করা মামলায় অন্যতম সাক্ষী ভোলানাথ ঘোষ শাহজাহান-সহ তাঁর সহযোগী ৮ জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেন। সেই তদন্তে নেমে যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ন্যাজাট কাণ্ডের পর বারবার নাম উঠে আসে জেলবন্দি শেখ শাহজাহান ও তার শাগরেদদের নাম। এই ভোলা ঘোষ শাহজাহানের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলার অন্যতম সাক্ষী।
উল্লেখ্য, সন্দেশখালির ত্রাস শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে সিবিআই যে মামলা করেছে, সেই মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ছিলেন ভোলানাথ ঘোষ। বুধবার সকালে আদালতের একটি কাজে যাচ্ছিলেন তিনি। গাড়িতে সঙ্গে ছিলেন ছোটো ছেলে ও চালক। ন্যাজোটের বয়ারমারি পেট্রোল পাম্পের সামনে একটি ট্রাকের সঙ্গে ভোলানাথ ঘোষের গাড়ির একেবারে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। অভিঘাত এতটাই ছিল যে দুর্ঘটনার পর রাস্তার পাশের নয়ানজুলিতে গিয়ে পড়ে গাড়িটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ভোলা ঘোষের ছেলে ও চালকের। ঘটনার পরই অভিযোগের আঙুল ওঠে জেলবন্দি শেখ শাহাজাহানের দিকে। বিজেপির তরফে রেখা পাত্র বুধবারই দাবি করেছিলেন, ভোলা ঘোষকে খুন করতেই পরিকল্পনামাফিক এই দুর্ঘটনা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এপ্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে মুখ খুললেন ভোলা। তিনি বলেন, “একটা ব়্যাকেট চলছে। জেলে বসেই শেখ শাহজাহান সব প্ল্যান করেছিল। আমি দেখেছিল আলিম মোল্লা গাড়ি চালাচ্ছিলেন। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি চাই।”
