বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: ৭ বছর ধরে প্রেম। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস। তা সত্ত্বেও অন্যের সঙ্গে বিয়ে স্থির হয়েছে প্রেমিকের। আর এ খবর পাওয়ামাত্রই প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে ধরনায় বসলেন প্রেমিকা। বেশ কয়েকঘণ্টা ধরে প্রেমিকের বাড়িতে ধরনায় বসেছিলেন তরুণী। বাড়ির লোকজন বোঝালেও লাভ হয়নি। অবশেষে পুলিশি হস্তক্ষেপে ধরনা প্রত্যাহার করেন প্রেমিকা। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের পরেও প্রতারণার অভিযোগে পুলিশ প্রেমিককে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার মাজদিয়া লক্ষীডাঙ্গা গ্রামে।
কৃষ্ণগঞ্জ থানার স্বর্ণখালির মাঝেরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ওই তরুণী। তাঁর বাবা-মা নেই। বাড়িতে দাদা, বউদি রয়েছেন। তরুণীর দাবি, প্রায় ৭ বছর ধরে কৃষ্ণগঞ্জ থানার মাজদিয়ার লক্ষীডাঙা গ্রামের বাসিন্দা গোপাল সাধুখাঁর ছেলে বাবুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বাবু বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার সহবাসও করেছে। যদিও বাবু ইদানীং তাঁকে এড়িয়ে চলতে শুরু করে। ইতিমধ্যেই বৃহস্পতিবার সন্ধেয় তিনি খবর পান, বাবুর জন্য অন্যত্র বিয়ের পরিকল্পনা করছেন।
[আরও পড়ুন: রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর তৈরিতে উদ্যোগী নবান্ন, কলকাতার আশপাশে শুরু জমির খোঁজ]
আর তা জানার পর প্রেমিকের বাড়িতে হাজির হন তরুণী। বাবুর সঙ্গে দেখা করতে চান। সেই সময় তার প্রেমিক বাড়িতে ছিলেন না।প্রেমিককে না পেয়ে তার মায়ের সঙ্গে কথা বলতে চান। কিন্তু বাবুর বাড়ির লোকজন তার সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকার করেন। এবং তাকে অবিলম্বে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু বাড়ি থেকে বেরতে কিছুতেই রাজি হচ্ছিলেন না তরুণী। এরপরই ধরনায় বসেন।
এভাবেই বেশ কয়েকঘন্টা কেটে যায়। তরুণী বাড়ি থেকে বেরতে রাজি না হওয়ায় কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশকে খবর দেন যুবকের বাড়ির লোকজন। এদিকে, চিৎকার-চেঁচামেচিতে জড়ো হয়ে যান প্রতিবেশীরাও। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ। এরপর দু-একপ্রস্থ কথা কাটাকাটির পর ধরনা প্রত্যাহার করেন তরুণী। ওই রাতেই কৃষ্ণগঞ্জ থানায় বাবু সাধুখাঁর বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার বাবুকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তাকে কৃষ্ণনগর জেলা আদালতে তোলা হয়। বিচারক অভিযুক্তকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
