সুমন করাতি, হুগলি: পাঁচ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক। দুই পরিবারের মধ্যে কথাবার্তার পর বিয়ের দিনক্ষণ স্থির হয়েছিল। সেইমতো সব আয়োজন করা হয়। শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ছিল বিয়ের দিন। চারহাত এক হওয়ার সময়ের অপেক্ষা ছিল। কিন্তু তা আর পূরণ হল না। শেষ মুহূর্তে বর এলেন না, ভেস্তে গেল বিয়ে। নিমেষে শুনশান মন্দিরবাজারের বিয়ের আসর। এমনকী হুগলির বাসিন্দা পাত্রের সঙ্গে যোগাযোগও করা যায়নি। জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করার আগেই এমন স্বপ্নভঙ্গে প্রথমে হতাশায় ডুবে গেলেও পরে উঠে দাঁড়িয়ে কড়া পদক্ষেপ করলেন সাহসী পাত্রী। সোজা থানায় গিয়ে পুলিশে দায়ের করলেন মামলা।
মন্দিরবাজার থানা এলাকার দক্ষিণ বিষ্ণুপুর গ্রামের বাসিন্দা শ্বেতা ভট্টাচার্য। তাঁর সঙ্গে হুগলির উত্তরপাড়ার এক যুবকের ৫ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এবার বিয়ের পালা। ওই যুবকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে ১৩ ডিসেম্বর স্থির হয় বিয়ের দিন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বিয়ের আসরে হাজির হননি পাত্র। তাঁর সঙ্গে ফোনেও যোগাযোগ করা যায়নি রাত পর্যন্ত। মোবাইল বন্ধ রয়েছে বলে জানা যায়। রাতটুকু কোনও ক্রমে কাটিয়ে সকালেই নিজের জ্যাঠামশাই শ্যামল ভট্টাচার্যকে নিয়ে সোজা হাজির হন উত্তরপাড়ায়, পাত্রের বাড়িতে। কিন্তু গিয়ে দেখেন, বাড়ি তালা দেওয়া, ত্রিসীমানায় এমন কেউ নেই যাঁরা তাঁর খোঁজ দিতে পারেন। হতাশায় ভেঙে পড়েন শ্বেতা।
এরপরই অবশ্য স্থানীয় থানায় যান তাঁরা। যুবতীর অভিযোগ, তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর কাছ থেকে সোনার গয়না, নগদ টাকা নিয়েছেন যুবক। দু'জনের একসঙ্গে তোলা সেলফিও দেখান যুবতী। জ্যাঠা শ্যামল ভট্টাচার্য বলেন, ''কোনও এক সংস্থার অপারেশনাল ম্যানেজার বলে পরিচয় দিয়েছিল ছেলেটি। ওর কাকা-কাকিমারা জানে, ছেলেটি প্রতারক। আমাদের মেয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছে। আর কোনও মেয়ের সঙ্গে যেন এমনটা না হয়। তাই থানায় অভিযোগ করেছি।'' পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
