গোবিন্দ রায়: বাড়ির পিছনের কাঁঠাল গাছ থেকে আইসিডিএস কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বসিরহাটের স্বরূপনগর থানা এলাকায়। ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নেপথ্যে উঠে এসেছে আবাস যোজনার ঘর সংক্রান্ত সমস্যা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত আইসিডিএস কর্মীর নাম রেবা বিশ্বাস রায় (৩৯)। শাঁড়াপুল-নির্মাণ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিশ্বাস পাড়ার বাসিন্দা তিনি। কুড়ি বছর আগে রেবার স্বামীর মৃত্যু হয়। তারপর থেকে তিনি বাপের বাড়িতেই থাকতেন। সোমবার সকালে পরিবারের লোকজন বাড়ির পিছনের কাঁঠাল গাছে ওই আইসিডিএস কর্মীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। ঘটনার খবর চাউর হতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় স্বরূপনগর থানার পুলিশ। মৃতদেহটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
[আরও পড়ুন: ‘রোজ চরিত্রহনন হচ্ছে, আর কেউ মন্ত্রী হতে চাইবে না’, আদালতে দাঁড়িয়ে বললেন পার্থ]
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, আবাস যোজনার ঘরের সার্ভে করতে গিয়ে অপমানের শিকার হন তিনি। একইসঙ্গে তাঁরা এই অভিযোগও করেছেন যে, রেবা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের চাপ সহ্য করতে পারছিলেন না। তাই এই ঘটনা। প্রশাসনের দিকে এভাবে আঙুল তোলা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “কোনও কিছু অভিযোগের একটা ভিত্তি থাকতে হবে তো। আগেও দেখেছি এক বিজেপি নেতাকে হত্যার অভিযোগ তোলা হয়েছে। কিন্তু পরে দেখা গেছে ঋণের দায় থেকে বাঁচতে তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন। তাই আগে থেকে কোনও কিছু বলে প্রচার করে দেওয়া ঠিক না।”
এ বিষয়ে তাঁর দাদা গোপাল বিশ্বাস এবং বোন অঞ্জলি মণ্ডল জানান, “রেবা প্রায়শই বলত, এই চাপ সহ্য করতে পারছি না। মৃত্যুই পথ।” তাঁদের আরও দাবি, “এক পক্ষ বলছে, ঘর যাতে হয়, তাই তোমাকে করতে হবে, আর অন্যদিকে প্রশাসনও চাপ দিচ্ছে। দুইয়ের চাপে মানসিক অবসাদে ভুগলছিল।” বিডিওর কাছে গিয়ে ইস্তফা দিয়ে আসার পরামর্শও নাকি দেওয়া হয়েছিল রেবাকে।