সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমফানে উড়ে গিয়েছিল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের (ICDS Centre) ছাদ। সেই বিপর্যয়ের চিহ্ন ৩ বছর ধরে বহন করে চলেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। এখনও সেই ছাদ তৈরি হল না। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষায় প্রায় খোলা আকাশের নিচে পড়াশোনা থেকে রান্না, খাওয়া – চলছে সবই। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে এনেও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের। বর্ষাকালে ভিজে ভিজে ক্লাস করতে হয় বলে পড়ুয়ারাও আসতে চায় না। কুলতলির (Kultali) গোপালগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০৪ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটির এমন বেহাল দশা। তবে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সব শুনে আশ্বাস দিয়েছেন, দ্রুতই কাজ শুরু করে।
২০২০ সালে আমফান (Amphan) ঝড়ে উড়ে গিয়েছিল অ্যাসবেসটরের ছাদ৷ তারপর তিন বছর কেটে গিয়েছে, তবুও অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি৷ ফলে সমস্যার মধ্যে পড়েছেন এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ৯৫ পড়ুয়া৷ এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী ভদ্রাবতী নস্কর জানান, গ্রীষ্ম ও শীতকাল কোনওরকমে কাটলেও বর্ষায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় তাঁদের৷ বৃষ্টি কম হলে তবু ছাতা হাতে কোনওরকমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়। কিন্তু অঝোরধারায় বৃষ্টিতে সমস্ত কাজ বন্ধ হওয়ার জোগাড়। ফলে অনেক অভিভাবক সন্তানদের এখানে পড়তে পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছেন৷
[আরও পড়ুন: ‘মধ্যরাত পর্যন্ত দেখুন কী করি’, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্যকে হুঁশিয়ারি রাজ্যপালের]
শুধু ছাত্রছাত্রীরাই নয়, বর্ষাকালে (Rainy Season) অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে যে গর্ভবতী মায়েরা পুষ্টি খাবার পান বৃষ্টি পড়লেই তা থেকে বঞ্চিত হতে হয় তাঁদের৷ এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের উপর নির্ভরশীল প্রায় ১০ জন গর্ভবতী মহিলা। বর্ষাকালে রান্নার সমস্যার জন্য পুষ্টি না পেয়ে সমস্যায় পড়ছেন তাঁরাও৷ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের এই পরিস্থিতির কথা জানেন সকলেই৷ কিন্তু অর্থাভাবে এভাবেই কাটাতে হচ্ছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী, পড়ুয়া ও গর্ভবতী মায়েদের৷ কুলতলি ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রূপা সর্দার অবশ্য জানিয়েছেন, তাঁরা এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ঠিক করার জন্য ৩ লক্ষ টাকার বরাদ্দ নির্ধারিত করে জেলায় চিঠি পাঠিয়েছেন৷ টাকা পেলেই দ্রুত কাজ শুরুর আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।