স্টাফ রিপোর্টার: বেলুড় (Belur) সেনা আবাসনের ভিতর থেকে গুরুতর জখম অবস্থায় দুই যুবক-যুবতীকে উদ্ধার করল পুলিশ। ওই যুবক অচৈতন্য রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিলেন। আর যুবতীটি রক্তাক্ত শরীর নিয়ে আবাসনের মধ্যে বসেছিলেন। কপালে গুরুতর চোট ছিল তাঁর। পুলিশ দু’জনকে উদ্ধার করে হাওড়া হাসপাতালে পাঠায়।
জখম যুবতীর নাম অঞ্জলি মাহাতো। যুবকের নাম অজয় মাহাতো ও তার স্বামী বলে ওই যুবতী পুলিশকে জানিয়েছে। বাড়ি হুগলির বৈদ্যবাটিতে। এদিন বেলা দশটা নাগাদ বেলুড় চাঁদমারি ডিজিকিউএ কমপ্লেক্সের মধ্যে একটি চারতলা আবাসনের পাশে জঞ্জালের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। আবাসনের দরজায় বসে ছিলেন ওই যুবতী। তার শরীরেও বড়সড় চোট দেখতে পান বাসিন্দারা। এরপর নিশ্চিন্দা থানার পুলিশ এসে দু’জনকে উদ্ধার করে হাওড়া হাসপাতালে পাঠান।
[আরও পড়ুন: ‘আমি কালীর উপাসক, কাউকে ভয় করি না’, পোস্টার বিতর্কে বিজেপিকে জবাব মহুয়ার]
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই কমপ্লেক্সে আটটি চারচলার বিল্ডিং ও ১২৮টি কোয়াটার্স থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে কোনও আবাসিক নেই। ফলে বিল্ডিংগুলি পরিত্যক্ত অবস্থায় ভেঙে পড়ছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আওতাধীন ওই আবাসনগুলি আশির দশকে তৈরি হলেও এখন কেউ থাকে না। ফলে আবাসনের মধ্যে অসামাজিক লোকজন যাতায়াত করে থাকে। দীর্ঘদিন খালি পড়ে থাকায় আবাসনের দরজা, জানালা থেকে পানীয় জলের ট্যাঙ্ক থেকে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম সবই চুরি গিয়েছে। এখন জুয়া ও মদের আসর বসায় কিছু মানুষজন বলে অভিযোগ।
বরাবরই নজরের বাইরে থেকে গিয়েছে আবাসন চত্বরটি। এদিন বৈদ্যবাটি থেকে ওই যুবক-যুবতী কী কারণে আবাসনের ভিতরে এসেছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আবাসনের উপরে চুরি করতে গিয়ে না, নিজেদের মধ্যে মদ খেয়ে মারামারি করে এই ঘটনা তা জানতে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, কী উদ্দেশ্যে আহতরা আবাসনে এসেছিল তা এখনও বিষয়টি স্পষ্ট নয়। তদন্তের পরই বিষয়টি জানা যাবে বলে জানায় তারা।