অর্ণব আইচ: সন্ত্রাসদমনে ফের বড়সড় সাফল্য পেল কলকাতা পুলিশ। বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান থেকে এক কুখ্যাত জামাত জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে এসটিএফ। নূর মহম্মদ নামের ধৃত জঙ্গি বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণে জড়িত বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে খবর, গোয়েন্দাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানে অভিযান চালায় লালবাজারে একটি বিশেষ দল। জালে পড়ে জামাত জঙ্গি নূর মহম্মদ। তার কাছ থেকে একটি পাসপোর্ট ও বেশ কিছু নথি পাওয়া গিয়েছে। তার পাসপোর্টটি আসল না নকল তা খতিয়ে দেখা হবে। শুক্রবার তাঁকে ব্যাংকশাল আদালতে পেশ করা হবে।
[বুদ্ধগয়ায় বিস্ফোরণের শব্দে থামল ধর্মগুরুর বক্তৃতা, দলাই লামাকে হত্যার ছক!]
উল্লেখ্য, এই নিয়ে বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণে জড়িত চারজন জামাত জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। চলতি মাসেই মুর্শিদাবাদ থেকে ধরা পড়ে মহম্মদ পয়গম্বর শেখ ও জামিরুল শেখ। তাদের জেরা করে ফারাক্কা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আহমেদ আলি ওরফে কালুকে। উদ্ধার হয় প্রচুর বিস্ফোরক। ধৃতরা জানায়, মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর অত্যাচারের বদলা নিতেই নিও জেএমবি-র জঙ্গিরা গত ১৯ জানুয়ারি বুদ্ধগয়ায় বিস্ফোরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
ঘটনাক্রম শুরু হয় বুদ্ধগয়ায় বিস্ফোরণের পর থেকে। জানা যায়, ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে নিও জামাত-উল-মুজাহিদিন (নিও জেএমবি)। গোয়েন্দারা জানতে পারেন, গত ছয় মাস ধরে এ রাজ্যে জঙ্গি তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছিল জেএমবি। তাদের প্রশিক্ষণ চলছিল মুর্শিদাবাদে। সেখানেই ঘাঁটি গেড়েছিল জেএমবি-র প্রধান সালাউদ্দিন সালেহিন। ধুলিয়ানে অনুষ্ঠান ওই সভাতেই যুবক ও তরুণদের মগজধোলাই করা হচ্ছিল। ‘মডিউল’ তৈরি করে তার আওতায় সাতটি ইউনিটও গড়া হয়েছিল। প্রত্যেকটি ইউনিটের জন্য ১৮ থেকে ৩১ বছর বয়সের তরুণ ও যুবকদের নিয়োগ করেছিল জঙ্গিরা। সেই ইউনিটের মাধ্যমেই বুদ্ধগয়ায় বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
পুলিশের অভিযোগ, সন্দেহভাজনদের একটি বড় অংশকে বিস্ফোরক তৈরির বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয় খাগড়াগড় বিস্ফোরণের অন্যতম অভিযুক্ত বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ কওসর ওরফে বোমারু মিজান। ধৃত দু’জনের কাছ থেকে ওই মডিউলের সঙ্গে যুক্ত এমন বেশ কয়েকজনের নাম মিলেছে, খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পর যাদের নাম উঠে এসেছিল। তাদের সন্ধানেও তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
[মুর্শিদাবাদে গ্রেপ্তার বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণের মূলচক্রী দুই জামাত জঙ্গি]
The post এসটিএফ-এর জালে বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণে অভিযুক্ত জামাত জঙ্গি appeared first on Sangbad Pratidin.
