দেবব্রত মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: শারীরিক অসুস্থতায়ও ছাড় মিলল না। তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের জামিনের আবেদন শুনলেনই না বারুইপুর মহকুমা আদালতের বিচারক। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, যতদিন না আরাবুল ইসলাম সুস্থ হচ্ছেন, ততদিন তাঁর জামিনের আবেদনের শুনানি হবে না। ফলে জামিন পাওয়ার জন্য আদালতে হাজিরা দিতে হবে তাঁকে।
[রক্তাক্ত ভাঙড়, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাতেই গ্রেপ্তার আরাবুল]
পঞ্চায়েত ভোটের মুখে রক্ত ঝরেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে। ১২ মে নির্দল প্রার্থীদের সমর্থনে মিছিল বেরিয়েছিল নতুনহাটে। মিছিলকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। গুলিও চলে। হাফিজুল ইসলাম নামে এক যুবকের মাথার গুলি লাগে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার মারা যান তিনি। হামলা ঘটনায় নাম জড়ায় ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের। তাঁকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাতে কাশীপুরের বাড়ির পিছনে বাগান থেকে শাসকদলের নেতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আরাবুলকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন বারুইপুর মহকুমা আদালত। এদিকে আবার জেলে থেকেও পঞ্চায়েত সমিতিতে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
[ভাঙড়ে পাঁচটি আসনে জয়ী জমিরক্ষা কমিটি, জেলে থেকেও জয় পেলেন আরাবুল]
পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ শেষে মঙ্গলবার নিয়মমাফিক আরাবুল ইসলামকে পেশ করার কথা ছিল বারুইপুর মহকুমা আদালতে। তাঁর আইনজীবী আদালতকে জানান, শাসকদলের এই নেতা গুরুতর অসুস্থ। হাসপাতালে ভরতি। তাই আদালতে হাজিরা দিতে পারেননি আরাবুল ইসলাম। বারুইপুর মহকুমা আদালতে জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। কিন্তু, অভিযুক্তের অনুপস্থিতিতে জামিনের আবেদন শুনলেনই না বিচারক। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, আরাবুল ইসলাম যতদিন না সুস্থ হবেন, ততদিন জামিনের আবেদনেরও শুনানি হবে না। শুক্রবার জেলে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন শাসকদলের এই নেতা। তাঁকে ভরতি করা হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে।
[দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিক পরিচয়ে প্রতারণা, আটক ১]
