জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: কার্নিভ্যালে যোগ দিয়েও রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা শোনালেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। রবিবার বনগাঁর ডেভেলপমেন্ট কার্নিভ্যালে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপির উদ্দেশে হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বললেন, ”মারলে পালটা মার হবে। এমন মার দেব, শিক্ষা পাবে বিজেপি।” পাশাপাশি, বিজেপি নেতাদের বাকসংযমের পরামর্শও দিলেন গাইঘাটার বিধায়ক। তাঁর হুঁশিয়ারির জবাবও দিলেন বনগাঁর বিজেপি নেতা দেবদাস মণ্ডল।
রবিবার এই কার্নিভ্যালে বাইক মিছিল কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সঙ্গে ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর গোপাল শেঠ-সহ অন্যান্য নেতাও। বনগাঁ বাটার মোড় থেকে গাইঘাটা থানা পর্যন্ত কয়েক হাজার সমর্থক নিয়ে বাইক মিছিল হয় তৃণমূলের৷ র্যালিতে বাইক ছাড়াও ছিল মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের প্রকল্পগুলি নিয়ে বিভিন্ন সুসজ্জিত ট্যাবলো ৷ তৃণমূলের দাবি, পনের হাজারেরও বেশি বাইক এই মিছিলে অংশ নিয়েছে।
[আরও পড়ুন: বিজেপিতে যোগদানের পরও সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল ‘প্রীতি’, সমালোচনায় বিদ্ধ বনশ্রী মাইতি]
এখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জ্যোতিপ্রিয় বলেন, ”আমি অনেকদিন ভদ্র ছিলাম। বিজেপি যদি একতরফা মনে করে থাকে যে দলের রাজ্য সভাপতি তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের মারবেন, তৃণমূল কর্মীদের মেরে ফেলবেন, গুলি করে দেবেন, তা হবে না। আমি গুলি করার কথা বলব না, রক্তের কথা বলব না। তবে মারলে পালটা মার হবে। জেনে রেখে দিন, এমন মার দেব, শিক্ষা পাবে বিজেপির লোকেরা।” নাম না করে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)-সহ বিজেপি নেতাদের উদ্দেশে জ্যোতিপ্রিয়র আরও হুঁশিয়ারি, ”বাকসংযম করুন। লোককে গুলি করে দেব, মেরে দেব, শ্মশানে পাঠিয়ে দেব – এসব বললে পালটা হবে।” এরপর দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে তাঁর আহ্বান, ”পালটা লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিন। বাংলার মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ চলতি মাসেই ঠাকুরনগরে সভা করবেন। এই প্রসঙ্গে জ্যোতিপ্রিয়র প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ”অমিত শাহর সভার সাত দিনের মধ্যে ঠাকুরনগরে পালটা সভা হবে।”
[আরও পড়ুন: শুভেন্দুর সভার পরই রণক্ষেত্র কাঁথি, বিজেপির মহিলা কর্মীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ]
এদিকে, জ্যোতিপ্রিয়র মন্তব্যের জবাবে এদিন বিজেপির বনগাঁ (Bongaon) জেলা কমিটির সহ সভাপতি দেবদাস মণ্ডল বলেন, ”বিজেপি কর্মীরা কি কেবল মার খাবে?একটা সময় প্রতিরোধ তো হবেই। জ্যোতিপ্রিয় বাবুদের সঙ্গে আর মানুষ নেই।”
