shono
Advertisement

করোনা কালে মানবিক উদ্যোগ, দুস্থ ছাত্রছাত্রীদের মুখে খাবার তুলে দিলেন কালনার শিক্ষকরা

করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আগে শিশুদের পরিবারের লোকজনদের সতর্কও করলেন তাঁরা।
Posted: 07:39 PM Jul 15, 2021Updated: 08:12 PM Jul 15, 2021

অভিষেক চৌধুরী, কালনা: করোনা (Covid-19) সংক্রমনের তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আগেভাগেই সতর্কতা জারি রয়েছে দেশজুড়ে। কারণ শিশুদের সংক্রমনের হার বেশি হতে পারে বলে অনুমান চিকিৎসকদের। আর সেই নিয়েই শিশু ও তার অভিভাবকদের সচেতনও করা হচ্ছে বিভিন্নভাবে। সেই কথাকে মাথায় রেখেই শিশুদের ও অভিভাবকদের করোনা সংক্রমনের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি-সহ দুঃস্থ, দরিদ্র পরিবারের শিশু ও তাঁদের পরিবারের হাতে পুষ্টিকর খাবার তুলে দিতে এগিয়ে এলেন কালনার (Kalna) বেশ কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষিকা। শিক্ষকদের এহেন মানবিক কর্মকাণ্ডে খুশি এলাকার মানুষজন।

Advertisement

করোনা আবহে কাজ হারিয়েছেন অনেকেই। স্বাভাবিক কারণেই অনেক পরিবারেরই অর্থনৈতিক অবস্থা যে খুব ভালো তাও নয়। নুন আনতে পান্তা ফুরানোর সংসারে সেই সব পরিবারের শিশুদের পুষ্টিকর খাবারও জোটে না। করোনা সংক্রমনের তৃতীয় ঢেউয়ের আগে এমনই এক ভাবনা থেকে সেইসব শিশুদের হাতে পুষ্টিকর খাবার তুলে দেওয়ার কথা মাথায় আসে কালনা কলেজের শিক্ষিকা মৌ খানের। এরপরেই তিনি এমনই এক ভাবনার কথা জানান স্কুল শিক্ষক সুজিত সাহা, সুদীপ্ত তালিত ও তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়দের। যেমন ভাবনা তেমন কাজ। এরপরেই দু-দিন ধরে তাঁরা সকলে মিলে ধাত্রীগ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রামকালনা ও বকুলতলা এলাকায় গিয়ে দুই শতাধিক শিশু ও তাদের পরিবারের হাতে পাউডার দুধের প্যাকেট, ডিম, মুসুর ডাল, সোয়াবিন, বিস্কুট-সহ নিত্য প্রয়োজনীয় বেশ কিছু দ্রব্য মাস্ক ও স্যানিটাইজার তুলে দেন তাঁরা। পাশাপাশি করোনা সংক্রমনের হাত থেকে বাঁচতে কী কী করনীয়? শিশুদের অভিভাবকদের সেই বিষয়ে বিশেষ সচেতনতার বার্তাও দেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

[আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহেই প্রকাশিত হবে মাদ্রাসা, হাই-মাদ্রাসার ফলাফল, বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাল বোর্ড]

স্বাভাবিক কারণেই এই সব জিনিস পেয়ে বেশ খুশি ওই এলাকার দুঃস্থ-দরিদ্র পরিবারের মানুষজনও। মৌ খান নামে ওই শিক্ষিকা বলেন, “করোনার তৃতীয় ঢেউ আসার আগে এলাকায় গিয়ে শিশুদের পরিবারের লোকজনকে আরও বেশি সচেতন করলে ভালো হয়। এই মনে করেই আমরা শিক্ষকরা মিলে সেই কাজ আমাদের সামর্থ্য মতো করার চেষ্টা করছি। দুঃস্থ পরিবারের শিশুদের হাতে পুষ্টিকর খাবারও তুলে দিচ্ছি।” শিক্ষক তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,“করোনা আবহে গরিব পরিবারের শিশুদের পুষ্টিকর খাবার তুলে দেওয়ার কথা মনে হতেই আমরা তা শুরু করি। আমাদের দেখাদেখি অন্য শিক্ষকরাও এই কাজের সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে চেয়েছেন। প্রথম পর্যায়ে এই কর্মসূচি ৫ দিন ধরে চালানো হবে।”

[আরও পড়ুন: Phone Pay খুলতেই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সাফ! ৫৮ হাজার টাকা খোয়ালেন যুবতী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার