টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: তাঁকে নিয়ে বিতর্কের যেন শেষ নেই। উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়কে নিয়ে রসিকতা থেকে সংসদে দাঁড়িয়ে 'ছু কিত কিত' মন্তব্য। আবার সম্প্রতি যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠকে কাচের বোতল ছুঁড়ে বিতর্কে নাম জড়ায় তাঁর। তবে উৎসবে রাজনীতিক পরিচয় দূরে সরিয়ে রেখে যেন একেবারে ঘরের ছেলের ভঙ্গিমায় বরাবরই দেখা যায় তাঁকে। দুর্গাপুজোর পর কালীপুজোতেও আবেগে ভাসলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। দেবী প্রতিমাকে জড়িয়ে ধরে হাউহাউ করে কাঁদতে দেখা গেল দুঁদে আইনজীবী তথা শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
বাঁকুড়ার দোলতলায় আদি বাড়ি কল্যাণের। বরাবরই ওই বাড়িতে হয় কালীপুজো। আর তাই বছরের এই সময়টা আদি বাড়িতেই কাটান সাংসদ কল্যাণ। প্রতি বছরের মতো এবারও সেই নিয়মে কোনও ছেদ নেই। আর শুধু থাকাই নয়, নিজে হাতে পুজোর যাবতীয় আয়োজনও করেন তিনি।
নিজে হাতে পুজোর সরঞ্জাম জোগাড় করেন। আরতিও করেন। নিজের হাতে কালীপুজোও করেন। পুজোর পর অবশ্য আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন সাংসদ। দেবী প্রতিমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদেন তিনি। কান্নাভেজা গলায় "ভবতারিণী মা, জয় তারা," ধ্বনি দিতে থাকেন।
যদিও এই প্রথমবার নয়। এর আগেও একাধিকবার দেবী প্রতিমার সামনে হাউহাউ করে কাঁদতে দেখা গিয়েছে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সম্প্রতি দুর্গাপুজোয় হুগলির শ্রীরামপুরের ৫ ও ৬ পল্লি গোষ্ঠী ও ব্যবসায়ী সমিতির পুজোয় কাঁদতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। সন্ধিপুজোর আরতি শেষে কান্নাভেজা গলায় মা, মা করে ধ্বনি দিতেও থাকেন কল্যাণ।
এর আগের বছরেও একই ছবি দেখা গিয়েছিল। যা মুহূর্তেই সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। এবার কালী প্রতিমাকে জড়িয়ে ধরে কল্যাণের কান্না নেটদুনিয়ায় বিদ্যুতের গতিতেই ছড়িয়ে পড়ে।
দেখুন ভিডিও: