বাবুল হক, মালদহ: যেন তাসের ঘর! আগ্রাসী গঙ্গার ভাঙনে এবার তলিয়ে গেল আস্ত উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র। মালদহের (Malda) কালিয়াচকের বীরনগরের ভিমাগ্রামে উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি ২০১৪ সালে তৈরি হয়। এখান থেকে প্রসূতি ও শিশুরাই মূলত স্বাস্থ্য পরিষেবা পেত। উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশের আরও ৩০টি বাড়িও ভাঙনের কবলে। আতঙ্কিত স্থানীয়রা।
শুক্রবার রাত থেকে ফের গঙ্গার বিধ্বংসী ভাঙনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। কালিয়াচক-৩ নম্বর ব্লকজুড়ে রয়েছে মোট ৪১টি উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র। এদিন ভিমাগ্রাম উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি রাত ৯ টা নাগাদ গঙ্গার ভাঙনে তলিয়ে যায়। জড়ো হন শত শত মানুষ। তারা তলিয়ে যাওয়ার দৃশ্য মোবাইল ক্যামেরাবন্দি করেন। সেই ভিডিওই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দুর্গারামটোলা, ভিমাগ্রাম, লালুটোলা, নারায়ণ টোলা, হাতিচাপা গ্রামের মানুষ স্বাস্থ্য পরিষেবা পেতেন। মূলত প্রসূতি এবং শিশুদের স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া হত। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ফার্স্ট এএনএম স্মৃতি দাস বলেন, “ভাঙন আতঙ্কে ছিলাম। মাসখানেক হল আতঙ্কিত হয়ে আমরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রায় সমস্ত জিনিস সরিয়ে নিই। স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি ফাঁকা করার পর সেখানে সাময়িক ভাঙন দুর্গতরা আশ্রয় নেন। ফলে শুধুমাত্র কয়েকটি ফ্যান এবং জলের ট্যাঙ্কটি ছিল। রাতে ভবন তলিয়ে যাওয়ার খবর আসে। পরে সরজমিন দেখতে যাই। দেখি এক টুকরো ইট পর্যন্ত নেই।”
[আরও পড়ুন: Independence Day: নাশকতার ছক? New Jalpaiguri স্টেশনে বোমার মতো বস্তু ঘিরে শোরগোল]
স্থানীয়রা জানান, রাতে প্রায় চার ঘন্টা ধরে টানা বিধ্বংসী ভাঙনে ৩০টি বাড়ি গঙ্গায় প্রায় বিলীন। স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল শেখ, মাইনুল শেখ, আখতার শেখ, খোকা শেখদের বাড়ি গঙ্গাগর্ভে চলে গিয়েছে। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য তরুণ দাস বলেন, “রেকর্ড ভাঙনে আরও আতঙ্ক বেড়েছে। কেউ ব্যবস্থা নিচ্ছে না।” কালিয়াচক-৩ নম্বর ব্লকের বিডিও মামুন আক্তার বলেন, “রাতে গঙ্গার ভাঙন হয়েছে। ভাঙন এলাকার মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। একটি উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র গঙ্গাগর্ভে চলে গিয়েছে। একটি মসজিদও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কত সংখ্যক বাড়ি গঙ্গায় চলে গিয়েছে, সেই তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে।”
দেখুন ভিডিও:
[আরও পড়ুন: Nadia: সরকারি হোমের পাঁচিল টপকে পলাতক ৩ নাবালিকা, প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা]
This browser does not support the video element.