shono
Advertisement

কয়লাখনিতে ধস নেমে ১৫ ফুটের গর্ত, চাঞ্চল্য জামুড়িয়ায়

কাঠগড়ায় ইসিএল কর্তৃপক্ষ।
Posted: 06:08 PM Sep 03, 2018Updated: 06:08 PM Sep 03, 2018

চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: চুরুলিয়ার রেশ কাটতে না কাটতেই  ফের ধস। এবার ধস নামল জামুড়িয়ার কেন্দা কয়লাখনিতে। এর জেরে পরিত্যক্ত ৪ নম্বর কয়লাখনি এলাকায় ১৫ফুট মাটি বসে গিয়েছে। কুয়োর মতো বড়সড় ফাটল তৈরি হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। পরিস্থিতি দেখে পুনর্বাসনের দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

Advertisement

জানা গিয়েছে, এদিন চুরুলিয়ার কেন্দা কয়লাখনির ৪ নম্বর পিটের কাছে আচমকাই ধস নামে। ধসের জেরে ১৫০ ফুট এলাকাজুড়ে ১৫ ফুট গভীর গর্ত তৈরি হয়েছে। ১৫০ ফুটের সেই গর্ত থেকে গনগনে আঁচ ও  ধোঁয়া বেরোতে থাকে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ইসিএল কর্তৃপক্ষকে খবর দেওয়া হলেও এব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।  খনি গর্ভে আগুন জ্বলতে থাকার কারণেই বারবার ধস নামছে এলাকায়। এদিকে  ধস কবলিত এলাকার কাছেই একবছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে কেন্দা ওয়েস্টব্লক খনিটি। সেখানেই ধসের ঘটনাটি ঘটেছে। এর আগে ২০১৭-র জুলাইতে ওই খনি সংলগ্ন এলাকায় আগুন লেগে যায়। সেই সময় ডাইরেক্টর অফ জেনারেল মাইনস সেফটির নির্দেশে (ডিজিএমএস)খনির উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়। চলতি বছরের জুলাইতে সেই খনি পুনরায় চালু করে কর্তৃপক্ষ। দাবি করা হয়েছিল, খনিগর্ভে জ্বলতে থাকা আগুন নিভে যেতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সোমবার বড়সড় ধসের পরে বাসিন্দাদের দাবি, ইসিএল কর্তৃপক্ষ ভুল বুঝিয়েছিল।

[দিনেদুপুরে রাস্তায় আক্রান্ত স্কুলছাত্রী, খাওয়ানো হল কীটনাশক]

বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ধসের জেরে খনির পূর্ব প্রান্তে আগুন ও গ্যাসের প্রকোপ দেখা যায়। খনিগর্ভ থেকে গলগল করে ধোঁয়া বেরোতে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন জামুড়িয়াবাসী। ধস এলাকার পাঁচশো মিটারের মধ্যেই রয়েছে জনবসতি। সেখানে ২৫০টি পরিবারের বাস।  ওয়েস্ট কেন্দা খোলামুখ খনির অদূরেই রয়েছে কেন্দাপুলি, শালডাঙা ও মাঝিপাড়া গ্রাম। খানেক দূরে কেন্দা গ্রাম। হঠাৎ করে আগুন ও ধোঁয়া দেখতে পাওয়ায় আতঙ্কিত বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন ইসিএল কেন্দা কোলিয়ারির ম্যানেজার ইন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানান, ধস কবলিত খনি মুখগুলি ভরাট করার কাজ শুরু হয়েছে।  জামুড়িয়ার  বিডিও  অনুপম চক্রবর্তী জানান,  এলাকাগুলি আগে থেকেই ধস কবলিত। তবে  বিজয়নগরের কাছে পুনর্বাসন প্রকল্পের কাজ চলছে। পরবর্তীকালে স্থানীয়দের সেখানেই পুনর্বাসন দেওয়া হবে। আপাতত অস্থায়ী  পুনর্বাসনের প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।

খনি বিশেষজ্ঞদের দাবি,  জল ও মাটি দিয়ে খনি ভরাট না করে  ইসিএলের উচিত নিয়মিত‘ কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট’  শুরু করা। কিন্তু ঠিক মতো সেই কাজ না হওয়ায় সুরক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি কেন্দা এরিয়ায় উপেক্ষিত হচ্ছে। যদিও কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই খনিটি তাঁরা বারবার ভরাট করলেও কয়লা মাফিয়ারা মাটি সরিয়ে ফের খনন শুরু করে দিচ্ছে। তার ফলেই বারবার ধস নামছে ওই এলাকায়। 

[দাদাকে পুড়িয়ে খুনের পর আত্মহত্যার চেষ্টা ২ তরুণীর, ময়ূরেশ্বরে চাঞ্চল্য]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement