shono
Advertisement
Netaji Subhas Chandra Bose

সরকারি সহায়তা মেলেনি আজও, নেতাজির স্মৃতিধন্য কালনার মঠে সংগ্রহশালা তৈরি বিশ বাঁও জলে!

কালনার জ্ঞানানন্দ মঠে নেতাজির নিত্যপুজো হয়। সংরক্ষণ করা হয়েছে তাঁর ব্যবহৃত সামগ্রী। কিন্তু সংগ্রহশালা এখনও বহু দূর।
Published By: Sucheta SenguptaPosted: 02:56 PM Jan 23, 2025Updated: 02:56 PM Jan 23, 2025

অভিষেক চৌধুরী, কালনা: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর পদধূলি ধন্য কালনার জ্ঞানানন্দ মঠ ছিল বিপ্লবীদের আখড়া। সেই মঠই আজ অবহেলিত। মঠ কর্তৃপক্ষের আবেদনে গুরুত্বপূর্ণ এই ঐতিহাসিক মঠকে একদা জেলা পর্যটন দপ্তর ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিলেও তা আজও বিশ বাঁও জলে। উপাসনা গৃহের সংস্কারের আর্জি জানালেও, সেই আবেদনে কাজের কাজ কিছু হয়নি। এবছর, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৮ তম জন্মদিনে আরও একবার সেই দাবি তুললেন কালনাবাসী।

Advertisement

জ্ঞানানন্দ মঠে নেতাজির চেয়ারটিও সংরক্ষিত করা হয়েছে। ফাইল ছবি।

কালনা মহকুমা হাসপাতালের উল্টোদিকেই রয়েছে জ্ঞানানন্দ মঠটি। প্রতি বছরই নিয়ম মেনে নিষ্ঠা সহকারে ২৩ জানুয়ারি সারাদিন ধরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নেতাজির জন্মদিন পালিত হয়। নেতাজির ব্যবহৃত কাঠের চেয়ার, খাবার টেবিল, খাট, একটি কাঁথা আজও কালনার জ্ঞানানন্দ মঠে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ব্যবহৃত চৌকি। তা সংরক্ষিত রয়েছে। যা দেখতে দূরদূরান্ত থেকে পর্যটকরা সারাবছর ধরেই ভিড় করেন। মঠ কর্তৃপক্ষ জানায়, নিত্য গৌরবানন্দ অবধূত মহারাজ ১৯২০ সালে এই মঠ প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর সঙ্গে নেতাজি, মাস্টারদা সূর্য সেনের মতো দেশনেতাদের যোগাযোগ ছিল। সেই সুবাদে ১৯৩০ সালে নেতাজি এই মঠে এসেছিলেন। একটি খড়ের ছাউনি ঘরে দু দিন, দু রাত ছিলেন তিনি। এই মঠ একসময় বিপ্লবীদের আখড়া হয়ে উঠেছিল। ধর্মচর্চার পাশাপাশি দেশকে স্বাধীন করার জন্য এখানে গোপন বৈঠক চলত। ব্রিটিশ পুলিশ একসময় মহারাজকে গ্রেপ্তার করে। সাত মাস জেলও খাটতে হয় তাঁকে।

স্বাধীনতা আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি হওয়া এই মঠের উপাসনা গৃহটি বর্তমানে সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু এখনও কোনও সরকারি সহযোগিতা মেলেনি। নিত্য প্রেমানন্দ মহারাজের কথায়, "নেতাজিকে এখানে নিত্য পূজা করা হয়। তাঁর ব্যবহৃত জিনিসপত্র সংরক্ষণের জন্য একটি মিউজিয়ামের দরকার। আর্থিক সমস্যার কারণে তা হয়নি। মানুষের দানে উপাসনাগৃহ সংস্কারের কাজ চলছে। একটি খোলা মঞ্চ, কমিউনিটি টয়লেট, অতিথিনিবাস-সহ পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ব্লক প্রশাসনের মাধ্যমে জেলা পর্যটন দপ্তরকে আবেদন জানানো হয়। যদিও এখনও কোনও সরকারি সাহায্য মেলেনি। হলে খুব ভালো হয়।" কালনা ১ বিডিও সুপ্রতীক সাহা জানান, "জেলা পর্যটন দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।" নেতাজির ১২৮ তম জন্মদিনেও আশায় আশায় দিন গুনছেন মঠের সদস্যরা। কবে সরকারি সহায়তায় নেতাজি স্মৃতি সম্বলিত একটি সংগ্রহশালা তৈরি হয়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
Advertisement