রিংকি দাস ভট্টাচার্য: রাজ্য ছেড়ে যাওয়ার আগে বেশ জমিয়ে ব্যাটিং শুরু করেছিল শীত৷ কিন্তু শেষ ইনিংসের দাপটের স্থায়িত্ব খুব বেশি ছিল না৷ সপ্তাহান্তে প্রায় উধাও শীতের দাপট৷ ঊর্ধ্বমুখী পারদ৷ আগামী কয়েকদিন রাজ্যের তাপমাত্রা এরকমই থাকবে বলেই জানিয়েছেন আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা গণেশ কুমার দাস৷
[২৫ বছর পর ফিরল নিখোঁজ বাবা, হাসপাতালে জড়িয়ে ধরল ছেলে]
গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে প্রায় জমিয়ে ব্যাটিং করছে শীত৷ তাপমাত্রার পারদ নেমে গিয়েছিল অনেকটাই৷ চলতি বছর রেকর্ড করেছে শীত৷ তবে নতুন বছরের প্রথম মাসের শেষের দিকে বেশ খানিকটা ছন্দপতন হয়৷ নেপথ্যে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা৷ শুধু তাই নয় গত সপ্তাহে পশ্চিমি ঝঞ্ঝার সঙ্গে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখাও অবস্থান করছিল। যা জলীয় বাষ্পকে টেনে এনে রাজ্যের আকাশ মেঘলা করে দিচ্ছিল। কিন্তু গত সপ্তাহে ঝঞ্ঝার সঙ্গে সঙ্গে সেটি রাজ্যের পূর্ব দিকে সরে যায়। এরপরই মঙ্গলবার থেকে একধাক্কায় পারদ নেমে যায় অনেকটাই৷ বুধবারের অবস্থাও ছিল একইরকম৷ এক ধাক্কায় পাঁচ ডিগ্রি নেমে তাপমাত্রা নেমে আসে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কোঠায়। কিন্তু বৃহস্পতিবার থেকে শেষ বেলায় আবারও ছন্দপতন শীতের৷ চড়ছে তাপমাত্রার পারদ৷ আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, রাজ্য থেকে বেশ কিছুটা দূরে অবস্থান করছে পশ্চিমি ঝঞ্ঝা৷ যার জেরে আবারও বাধা পেয়েছে উত্তুরে হাওয়া৷ তাই আপাতত তাপমাত্রা নামার আর কোনও সম্ভাবনা নেই৷ বরং তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে৷ আগামী কয়েকদিন কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় একইরকম আবহাওয়া জারি থাকবে বলেও জানিয়েছে হাওয়া অফিস৷
[সমঝোতার বার্তা দিয়ে গোপন আস্তানা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা গুরুংপন্থীদের]
তবে কি এই পশ্চিমি ঝঞ্ঝায় বাধা পাওয়ার ফলে শীত পাকাপাকিভাবে রাজ্য থেকে বিদায় নেবে, অনেকের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে সেই প্রশ্ন৷ যদিও এ বিষয়ে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফে কিছুই জানা যায়নি৷
