স্টাফ রিপোর্টার: রাস্তার ধারে মায়ের দেহ নিয়ে বসে নাবালিকা কন্যা! সাহায্যের কাতর আর্জি জানিয়েছে। ভেসে যাচ্ছে দু'চোখ। রাস্তার দু'ধারে ভিড় জমেছে। সাহায্যে এগিয়ে আসেনি কেউ। অদূরেই স্বাস্থ্যকেন্দ্র। অভিযোগ আসেননি কেউ। শেষমেশ মেয়েটির আকুল চিৎকারে দু'জন আশাকর্মী যখন পৌঁছলেন, ততক্ষণে সব শেষ! মৃতদেহ বাড়ি নিয়ে যেতে আরও বিড়ম্বনায় পড়ে মেয়েটি। ২ হাজার টাকার দাবি মেটানোর ক্ষমতা না থাকায় জোটেনি অ্যাম্বুল্যান্স। শেষে প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই ইঞ্জিনভ্যানে মায়র মরদেহ নিয়ে ৪০ কিলোমিটার দূরে গ্রামের বাড়িতে রওনা হয় মেয়ে। শুক্রবার এমনই চরম অমানবিকতার সাক্ষী থাকল কৃষ্ণনগর।

কিডনির সমস্যা ছিল ৪৫ বছরের জাহেরা বিবির। ডায়ালিসিস চলত। ডাক্তার দেখাতেই শুক্রবার সকাল ৯টা নাগাদ একটি বেসরকারি বাসে তেহট্ট থানা এলাকার তরণীপুর থেকে কৃষ্ণনগরের দিকে আসছিলেন তিনি। সঙ্গী নাবালক মেয়ে। কিন্তু বাসের মধ্যেই প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কাছে বাস থেকে নামানো হয় তাঁকে। তারপরই বিনা চিকিৎসায় মারা যান তিনি। পুরসভার সাফাই, আমাদের কেউ কিছু জানায়নি।
নদিয়া জেলা বাস মালিক সমিতির সম্পাদক তপন ঘোষের মন্তব্য, "চূড়ান্ত অমানবিক ঘটনা ঘটেছে। তবে কোন বাস থেকে এই ঘটনাটি ঘটেছে, আমরা খোঁজ নিচ্ছি।" কৃষ্ণনগর শহর তৃণমূলের মুখপাত্র মলয় দত্ত বলেন, "অভিযোগ যদি সত্যি হয়, তবে অত্যন্ত নিন্দনীয়। পুরসভার টাকায় চিকিৎসকেরা মাইনে পান, কর্মীদের বেতন হয়। এত টাকা খরচ হচ্ছে। তার পরেও সাধারণ নাগরিকেরা ন্যূনতম পরিষেবা পাবেন না, এটা হতে পারে না।"