নন্দন দত্ত, সিউড়ি: টিউশন থেকে ফেরার পথে ছাত্রীর মুখ বেঁধে গণধর্ষণের চেষ্টা! কিন্তু সাহস আর উপস্থিত বুদ্ধির জোরে নিজেকে রক্ষা করল বীরভূমের নাবালিকা। তবে তার আগে দুষ্কৃতীদের সঙ্গে রীতিমতো লড়াই চলে তার। অভিযোগ, গণধর্ষণে বাধা পেয়ে তারা নাবালিকাকে মারধর করে পোশাক ছিঁড়ে দেয়। তবে দুষ্কৃতীরা এখনও অধরা। রাস্তায় এমন ঘটনায় লোকজন জড়ো হতেই ফাঁক গলে পালিয়ে যায় দুজন। পুলিশ অভিযোগ পেয়ে গোটা বিষয়টির তদন্তে নেমেছে। খোঁজ চলছে দুই দুষ্কৃতীর।
ঘটনা বীরভূমের দুবরাজপুরের। সোমবার সন্ধে ৬টা নাগাদ টিউশন সেরে বাড়ি ফিরছিল নাবালিকা ছাত্রী। অভিযোগ, পণ্ডিতপুর গ্রামের কাছে দুজন যুবক তার পথ আটকায়। তাকে জোর করে রাস্তা থেকে টেনে নিয়ে যায় শুনশান এলাকায়। সেখানে কাপড় দিয়ে তার মুখ বাঁধার পর গণধর্ষণের চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। নাবালিকা বাধা দিলে তাকে ব্যাপক মারধর করা হয়। ছিঁড়ে ফেলা হয় নাবালিকার পোশাকের একাংশ। এর পর নাবালিকা চিৎকার করে লোক জড়ো করে। সকলে ছুটে যায় এবং দুষ্কৃতীদের হাত থেকে তাকে উদ্ধার করে।
এদিকে, পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে জমায়েত লোকজনের ফাঁক গলে পালিয়ে যায় পিন্টু সাহা ও চাঁদ দে নামে দুই অভিযুক্ত। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, পিন্টু ও চাঁদের পরিবারের লোকজনই তাদের পালাতে সাহায্য করেছে। অভিযুক্তদের নামে দুবরাজপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন পরিবারের লোকজন। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে দুবরাজপুর থানার পুলিশ। তবে এই পরিস্থিতিতে প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে নাবালিকা যেভাবে রুখে দাঁড়িয়েছে, তাতে তার সাহস ও উপস্থিত বুদ্ধির প্রশংসা করছেন সকলে। যদিও মেয়ের নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কিত মা-বাবা।