ধীমান রায়, কাটোয়া: ১০ বছর আগে বেপাত্তা হয়ে যাওয়া ছেলের সন্ধান পেল পরিবার। জানা গিয়েছে, অভিমান করে ভাতারের বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় ওই কিশোর। ঘটনার ঠিক ১০ বছর পর খোঁজ মিলেছে তাঁর। তবে বর্তমানে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ আটকে রয়েছে সে, এমনই খবর মিলেছে। এরপর থেকেই ছেলেকে ফিরে পাওয়ার আশায় নিখোঁজ যুবকের পরিবার।
[পাচারের আগে উদ্ধার ১০০ রামছাগল ও গরু, ধৃত চার ভারতীয়]
ভাতারের ভাটাকুল গ্রামের বাসিন্দা চারু মাঝির ছোট ছেলে সাগর মাঝি। সূত্রের খবর, বছর দশেক আগে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় একদিন মায়ের সঙ্গে অশান্তি হয় সাগরের। এরপরই অভিমান করে ঘর ছাড়ে ওই কিশোর। প্রচুর খোঁজ খবর করার পরেও সেসময় তার হদিশ পায়নি পরিবার। পরিবারের তরফে থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়েছিল৷ এরপর দীর্ঘদিন পেরিয়েছে। হঠাৎই জনৈক ব্যক্তির মারফৎ খোঁজ মিলেছে সাগরের। স্থানীয় সূত্রে খবর, কিছুদিন আগে মন্তেশ্বর থানার নবগ্রামের বাসিন্দা সুনীল খাঁ নামে এক ব্যক্তি হঠাৎই সাগরের বাবা চারু মাঝির সঙ্গে দেখা করতে যান। তিনি জানান, উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের কাছে ঘোলঘরিয়া নামে একটি জায়গায় একটি সংস্থার কাজ করতেন তিনি। সেখানেই সাগর মাঝির সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। সাগর নিজেই তাঁকে বলে পরিবারকে খবর দিতে। এরপরই গ্রামে ফিরে সাগরের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ওই ব্যক্তি।
[সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসায় ‘গাফিলতি’, হাত খোয়ালেন রোগী]
জানা গিয়েছে, বর্তমানে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের কাছে একটি নির্মাণ সংস্থায় কাজ করেন সাগর। অভিযোগ, সামান্য পারিশ্রমিকের বিনিময়ে কাজ করানো হয় তাঁকে। এমনকী বর্তমানে সেখানে আটকে রাখা হয়েছে সাগরকে। দীর্ঘদিন লড়াইয়ের পর এখন ঘরে ফিরতে চান বছর পঁচিশের যুবক সাগর। তবে নিম্নবিত্ত পরিবারের পক্ষে উত্তরপ্রদেশ থেকে ছেলেকে ফিরিয়ে আনার জন্য আর্থিক সামর্থ্যও নেই। তাই ঘরের ছেলেকে ফিরে পেতে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও প্রতিবেশীদের দ্বারস্থ মাঝি পরিবার। ভাতার পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি ও সেচ কর্মাধ্যক্ষ প্রদ্যুৎ পাল বলেন, ‘‘চারু মাঝিকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশের কাছে গোটা বিষয়টি জানানো হয়েছে। পুলিশের তরফে ইতিবাচক আশ্বাসও মিলেছে। তবে এখনও ওই যুবকের বাড়িতে পুলিশের তরফে কিছু জানানো হয়নি। তবে আমরাও চাই নিখোঁজ সাগর বাড়ি ফিরে আসুক।’’ আপাতত ছেলের ঘরের ফেরার অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা৷
ছবি: জয়ন্ত দাস
