নিজস্ব সংবাদদাতা, বোলপুর: গভীর রাতে বন্ধুদের সঙ্গে চ্যাট করে মোবাইল বন্ধ করে শুতে যাওয়ার আগেই আবদুল কুদ্দুসের হোয়াটস অ্যাপে একটি লিঙ্ক ভেসে উঠল। তিনি ওপেন করতেই মোমোর অতি পরিচিত ভয়ংকর মুখ ভেসে উঠল। গেম খেলার আমন্ত্রণ। রাজি না হতেই তাজ্জব কাণ্ড! একের পর এক ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করার হুমকি আসতে থাকে। তাতেও রাজি না হওয়ায় কুদ্দুসের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের যাবতীয় তথ্য ফাঁস করে দেয়। এমনকী, টাকার পরিমাণও। সঙ্গে সঙ্গে ভাইকে ফোন করে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরিয়ে দেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত একটা টাকা না খোয়ালেও চরম আতঙ্কে কুদ্দুস সাহেব। এ বিষয়ে পাড়ুই থানায় তিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
[রেল ঝুপড়িতে বসবাসকারী মহিলার মৃত্যু, জোরাল ‘অনাহার’ জল্পনা]
পাড়ুই থানার কেন্দ্রডাঙ্গাল গ্রামে বাড়ি আবদুল কুদ্দসের। মোবাইল রিপেয়ারিং ছাড়াও মোবাইলে ব্যালেন্স ভরার ব্যবসা রয়েছে তাঁর। ব্যবসার কাজে তিনি তাঁর ভাই এবং স্ত্রীর অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে থাকেন। কুদ্দুস বলেন, “রবিবার রাত ১২টা নাগাদ বন্ধুদের সঙ্গে চ্যাট করে শুতে যাবার সময় +১(৩০১)৯২২১৬৮৯ নং থেকে একটি লিঙ্ক আসে। লিঙ্ক ওপেন করতেই মোমো হাজির। এর পরেই একাধিক লিঙ্ক পাঠানো হয়। শুরু চ্যাট।” কুদ্দুস প্রথমে বাংলায় কথা বলতে চাইলে মোমো বাংলায় কথা বলতে অস্বীকার করে। শুরু হয় ইংরেজিতে চ্যাট। তাঁকে বলা হয়, শেষ পর্যন্ত তিনি গেম না খেললে বিপদে পড়বেন। তিনি অস্বীকার করতেই প্রথমে তাঁর বায়োডাটা জানিয়ে দেয়। নামের পাশাপাশি বাড়ির ঠিকানও বলে দেয় মোমো। তাঁকে বলা হয় তোমাকে মেরে ফেলা হবে।
কুদ্দুস সাহেব পুলিশে অভিযোগ করব বললে মোমো জানিয়ে দেয়, পুলিশ তার কিছু করতে পারবে না। এর পর বেশ কিছু লিঙ্ক আসে এবং নির্দেশ দেওয়া হয় লিঙ্কে দেওয়া নির্দেশ অনুসারে তাঁকে কাজ করতে, এবং কাজের শেষে স্ক্রিন শট করে পাঠাতে। আর এতে কুদ্দুস সাহেব রাজি না হতেই তাঁর এবং তাঁর ভাই ও স্ত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সব তথ্য তাঁকে পাঠাতে থাকে। এমনকী, কত টাকা আছে তাও পাঠিয়ে দেয়। এর পরেই বন্ধ হয়ে যায় মোবাইল এবং আবার নিজে থেকে খুলে যায়। আবদুল কুদ্দুস বলেন, “মোমো গেমের নামে মোবাইল হ্যাক করেছে। আমার ব্যক্তিগত এবং ব্যাংকের সব তথ্য ওদের হাতে। আমরা আতঙ্কে রয়েছি।”
[গ্রহের কুপ্রভাব কাটাতে দুঃস্থ রোগীদের সেবার নিদান জ্যোতিষীর]
The post মোমো খেলতে অস্বীকার, যুবকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য ফাঁস appeared first on Sangbad Pratidin.
