shono
Advertisement

বাড়িতে উদ্ধার মা-শিশুর দেহ, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে খুন? চাঞ্চল্য আদিবাসী পাড়ায়

পুলিশের অনুমান, ধারালো অস্ত্র দিয়ে মা ও ৫ বছরের সন্তানের মাথায় কোপ মারা হয়েছে। এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। শোরগোল মল্লারপুরের আদিবাসী পাড়ায়।
Posted: 10:28 AM Mar 29, 2024Updated: 10:52 AM Mar 29, 2024

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: সাতসকালে মা ও সন্তানের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল বীরভূমের (Birbhum) মল্লারপুরের আদিবাসী পাড়ায়। শুক্রবার ভোরে পাশাপাশি থাকা আত্মীয়রা হইচই শুনতে পান এই বাড়ি থেকে। সেখানে গিয়ে দেখেন, ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছে পাঁচ বছরের ছেলের রক্তাক্ত দেহ। মাও মেঝেয় শুয়ে ছটফট করছেন। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার করে প্রথমে মল্লারপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হলে, সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু (Death)হয় সুমি হাঁসদা নামে বছর পঁচিশের ওই মহিলার। পুলিশের অনুমান, ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় মারা হয়েছিল। তার জেরেই মৃত্যু। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে এই হত্যাকাণ্ড (Killing) ঘটতে পারে বলে অনুমান তদন্তকারীদের। এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। মল্লারপুর থানার পুলিশ গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমেছে।

Advertisement

মল্লারপুরের আদিবাসী (Tribal) পাড়া কানাচি গ্রামে শাশুড়ি ও ৫ বছরের ছেলেকে নিয়ে থাকতেন সুমি হাঁসদা নামে ওই মহিলা। তাঁর স্বামী মাস দেড়েক আগে মুম্বইতে (Mumbai) গিয়েছেন কাজের সূত্রে। সুমি এলাকার প্রাক্তন সেনাকর্মী আবদুল গফফরের বাড়ি কাজ করতেন। বৃহস্পতিবার তাঁর শাশুড়ি অন্যত্র গিয়েছিলেন। রাতে বাড়িতে ছেলেকে নিয়ে একাই ছিলেন সুমি। আর সকালেই উদ্ধার হল তাঁদের রক্তাক্ত দেহ। এনিয়ে তাঁর আত্মীয় সীমা মুর্মু জানাচ্ছেন, ”সকালে হইচই শুনলাম ওই বাড়ি থেকে। তার পর গিয়ে দেখি, কাকিমা রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে শুয়ে ছটফট করছে। সঙ্গে সঙ্গে সবাই উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কে, কেন এভাবে আঘাত করল, আমরা কিছুই জানি না।” গ্রামের ‘মোড়ল’ রুবান টুডু বলেন, সকালে ও পাড়ায় মা ও ছেলের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশে খবর দেওয়া হয়েছে। পুলিশ এসে তদন্ত করছে।

[আরও পড়ুন: বাড়িতে ৩ সন্তান, স্বামী পরিযায়ী, প্রচারে ব্যস্ত বসিরহাটের রেখার সংসার সামলাচ্ছেন কে?]

পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এই বাড়িতে বাইরের লোকের যাতায়াত ছিল। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে এই খুন হতে পারে। তবে রুবান টুডুর দাবি, ”গ্রামে এমন কিছু ঘটছে বলে আমরা জানি না। তবে রাতের অন্ধকারে কেউ এই বাড়িতে এলে, তা বলতে পারব না।” যে বাড়িতে মৃত সুমি কাজ করতেন, সেই আবদুল গফফরের বক্তব্য, ”ও অনেকদিন ধরেই আমার বাড়িতে কাজ করে। কিন্তু কখনও কোনও অস্বাভাবিক কিছু দেখিনি। কী করে এসব ঘটে গেল, বুঝতে পারছি না। আশা করি, পুলিশি তদন্তে সব উঠে আসবে।”

দেখুন ভিডিও: 

[আরও পড়ুন: আমাজনে মারা গেল বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাপ, অ্যানাকোন্ডার মৃত্যু ঘিরে ঘনাচ্ছে রহস্য]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার