বিক্রম রায়, কোচবিহার: কোচবিহারে শুটআউটে (Cooch Behar Shootout) তৃণমূল যুবনেতা খুনের পর কেটে গিয়েছে ৪ মাস। এখনও মেলেনি সুবিচার। ছেলের মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি হয়েছে বলেই অভিযোগ। তাই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান সন্তানহারা বাবা-মা। তবে মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের সঙ্গে দেখা করবেন কিনা, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
গত ১৭ আগস্ট, কোচবিহারের (Cooch Behar) ২ নম্বর ব্লকের ডোডেয়ার হাট রাখির দিন দুপুরে খুব কাছ থেকে গুলি করা হয়েছিল তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলে অমর রায়কে। বাইকে করে চার দুষ্কৃতী বাজারে আসে। অমর রায়কে পরপর চারটে গুলি করা হয়েছিল। তাঁর মাথায় ও পিঠে গুলি লাগে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। গোটা ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। দ্রুত ঘটনার তদন্ত শুরু করে কোচবিহার জেলা পুলিশ। ঘটনার দিনই একটি চারচাকা গাড়ি উদ্ধার হয়েছিল বাজার এলাকা থেকে। ওই গাড়িতে দুষ্কৃতীরা গিয়েছিল বলে মনে করেছিলেন তদন্তকারীরা।
এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সুবিচার পাননি তাঁর বাবা-মা। ছেলের মৃত্যু নিয়ে স্রেফ রাজনীতি হচ্ছে বলেই অভিযোগ তাঁদের। সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরে আসছেন শুনে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখছেন সন্তানহারা মা। তিনি বলেন, "আমার ছেলের ৪ মাস আগে মৃত্যু হয়েছে। খুনিদের ধরল। ছেড়ে দিল। যে ৫ জনকে ধরেছিল তাদের কাছে বন্দুক, গুলি পেয়েছিল। যে বাইকে চড়ে এসেছিল সেই বাইকও পেয়েছিল। আসামিদের জামিনও হয়ে গেল। সুবিচার পেলাম না। আমাদের শুধু ভাঁওতা দিয়েই যাচ্ছে।" তিনি আরও বলেন, "আমি সুবিচার চাই। সন্তানহারা মা। তার বউ আছে। বাচ্চা আছে। তাদের দেখলে আমার চোখে জল আসে। একটা ছেলের মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে একবার দেখা করার ব্যবস্থা করা হোক। আমি তাঁকে পুরোটা বলব।"
নিহত যুব নেতার বাবা আবার রবীন্দ্রনাথ ঘোষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, "রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, খোকন মিঞা-সহ আরও অনেকে খুনের ঘটনায় যুক্ত। ব্যবস্থা নেওয়া হোক সকলের বিরুদ্ধে। আমার ছেলের মৃত্যুর ৩ দিন পরই চিলাপাতা ফরেস্টের রিসর্টে গিয়ে ফুর্তি করল। আমার ছেলেকে ও সহ্য করতে পারত না। ওকে মিথ্য়া মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে বারবার।" রবীন্দ্রনাথ ঘোষ তাঁকে মানহানির মামলার হুঁশিয়ারি দেন। নিহত তৃণমূল নেতার বাবার চ্যালেঞ্জ, "মামলা করলে করুক"। তবে মুখ্যমন্ত্রী সন্তানহারা বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করবেন কিনা, তা এখনও জানা যায়নি।
