সৌরভ মাজি, বর্ধমান: ফের নৃশংসভাবে খুন। ঘটনাস্থল ফের সেই শক্তিগড় (Saktigarh)। সোমবার রাতে তন্ময় মালিক নামে এক যুবকের দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর বাড়ি স্থানীয় হিরাগাছি ঘোষপাড়ায়। ঘটনাস্থল থেকে আততায়ীর সাইকেল উদ্ধার হয়েছে। ঘটনার পর আততায়ী কালনায় (Kalna) পালিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হল না। খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সন্দেহে রাখি মুর্মু ওরফে পিণ্টু। কী কারণে খুন, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা খুনের ঠিক ১০ দিনের মধ্যেই ফের হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী শক্তিগড়ে। সোমবার রাতে যেখানে তন্ময়ের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেখান থেকে বড়জোড় দেড় কিলোমিটার দূরে খুন করা হয়েছিল রাজু ঝা’কে। জানা যাচ্ছে, তন্ময়দের বাড়ি হিরাগাছিতে। প্রায় একবছর ধরে হুগলির (Hooghly) চন্দননগরে মা পূজা মালিক ও বোনের সঙ্গে থাকতেন। আইটিআই (ITI) পাশ করে একটি সংস্থায় তন্ময় কাজ করতেন বলে জানিয়েছেন তাঁর ঠাকুমা তারা মালিক।
[আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে ফের পিছিয়ে গেল ডিএ মামলার শুনানি, হতাশ আন্দোলনকারীরা]
তবে তন্ময় নিয়মিত হিরাগাছিতে তাঁর বাবা তাপস মালিক-সহ অন্যদের কাছেও আসতেন। এখানে এক বন্ধুর বাড়িতেও মাঝেমাঝে থাকতেন। তারা মালিক জানান, এদিন ভোরে তন্ময় হিরাগছির বাড়িতে এসেছিল। ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট প্রয়োজন বাইরে চাকরিতে যাওয়ার জন্য। সেটা করাতেই এখানে এসেছিল বলে তারাদেবী জানান। তন্ময়ের বাবা তাপস মালিক বলেন, “এদিন বিকেলে ট্রেন ধরে চন্দননগর যাওয়ার কথা ছিল ছেলের। বিকেলে বাবার বাইকে চেপে স্টেশনের দিকে যাচ্ছিল। সঙ্গে দেখা করে ট্রেন ধরবে বলে আমার বাইক থেকে নেমে যায়। আমিও চলে যাই। তারপর এমন ঘটনা ঘটতে পারে বুঝতে পারিনি।”
[আরও পড়ুন: পাইলটের অনশন ‘দলবিরোধী কার্যকলাপ’, গেহলটের পাশে দাঁড়িয়ে কড়া বার্তা কংগ্রেস নেতৃত্বের]
সন্ধের মুখে গ্রামের অদূরে ইটভাটা এলাকা থেকে বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার শুনতে পান স্থানীয়রা। খারাপ কিছু অনুমান করেন তাঁরা। খবর চাউর হয়ে যায়। এলাকার লোকজন গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে তন্ময়ের নিথর দেহ। খবর পেয়ে শক্তিগড় থানার পুলিশ যায়। দেহ উদ্ধার করে। স্থানীয় বাসিন্দা রঘুনাথ ঘোষ আততায়ী পিণ্টু ওরফে রাখি মুর্মুর সঙ্গে তন্ময়ের গভীর সম্পর্কের কথা পুলিশকে জানিয়েছিলেন। সেই সূত্র ধরে রাখির খোঁজ শুরু করে পুলিশ। কালনা থেকে মঙ্গলবার সকালে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।