বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: মাঝ রাস্তায় আগ্নেয়াস্ত্র হাতে কেরামতি! সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও ভাইরাল হতেই বিপাকে নদিয়ার (Nadia) এক পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলে। যদিও ওই আগ্নেয়াস্ত্রটি আসল নয় বলেই দাবি অভিযুক্তের। এবিষয়ে এখনও নিশ্চিতভাবে কোনও তথ্য মেলেনি।
ব্যাপারটা ঠিক কী? নদিয়ার দেবগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মহিরুদ্দিন মণ্ডলের ছেলে সাহিদুল শেখ। পলাশি কলেজের ছাত্র সে। আর পাঁচজনের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি, ভিডিও পোস্ট করা তাঁর নেশা। কিছুদিন আগে জাতীয় সড়কের উপর গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে একটি ভিডিও শুট করেছিলেন শেখ বাপি। পরনে ছিল কালো পাঞ্জাবি। হাতে ছিল আগ্নেয়াস্ত্র। যা নিয়ে নানারকম কেরামতি করছিল সে। সঙ্গে ছিল বেশ কয়েকজন। সেই ভিডিও যথারীতি আপলোড করা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। মুহূর্তে তা ভাইরাল হয়ে যায়। বিষয়টি নজরে পড়তেই সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: দেশে Corona’র দাপটের জন্য ‘বিজ্ঞান’কেই কাঠগড়ায় তুললেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়]
এরপরই পঞ্চায়েত প্রধান মহিরুদ্দিন মণ্ডল ও তাঁর ছেলে শেখ বাপিকে তলব করে পুলিশ। টানা জেরার মুখে তারা দাবি করেন, অস্ত্রটি আসল নয়। ভিডিও শুটের জন্যই সেটি ব্যবহার করা হয়েছিল। ওই পঞ্চায়েত প্রধানের অভিযোগ, তৃণমূল করার কারণেই বিজেপি পরিকল্পনামাফিক তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করেছে। মহিরুদ্দিন মণ্ডলের দাবি, জাতীয় সড়কের উপর একটি পেট্রল পাম্পের সামনে ভিডিওটি শুট করা হয়েছিল। সেখানে পুলিশও ছিল। তাঁরা জানতেন আগ্নেয়াস্ত্রটি নকল তাই কোনও প্রশ্ন করা হয়নি। যদিও এই ঘটনার জন্য ছেলেকে শাসন করেছেন বলেই জানিয়েছেন তৃণমূল (TMC) নেতা। ভবিষ্যতে যাতে এহেন ঘটনা ঘটবে না বলেও আশ্বাস দিয়েছেন। এবিষয়ে সাহিদুল বলে, “খেলনা বন্দুক নিয়ে ভিডিও করতে গিয়ে এভাবে সম্মানহানি হবে ভাবিনি।”
