অর্ণব দাস, বারাকপুর: নৈহাটির বড়মার কাছে পুজো দিয়েছে লক্ষ-লক্ষ ভক্ত। তাঁদের মধ্যে অনেকেই দেবীর কাছে ফল অর্পণ করেছেন। ফলে শুক্রবার পর্যন্ত জমা ফলের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১৫ হাজার কেজি। শনিবার তা সবটাই বিতরণ করা হল শহর সংলগ্ন হাসপাতালগুলোতে। নৈহাটি শহরের হাসপাতাল ছাড়াও কল্যাণী ও গঙ্গার ওপারে চুঁচুড়া হাসপাতালেও তা দেওয়া হয়েছে। শুধু চিকিৎসা কেন্দ্র নয়, বড়মার প্রসাদ স্বরূপ সেই ফল গিয়েছে এলাকার বৃদ্ধাশ্রম, অনাথ আশ্রমেও।
কালীপুজো হয়েছে ৩১ অক্টোবরে। তার আগে থেকেই ভক্তরা পুজো দিয়ে গিয়েছেন বড়মার কাছে। ফলে ফলের পাহাড় তৈরি হয়েছিল বড়মা-র মন্দিরে! প্রতি বছরের মতো এবারও সেই প্রসাদ বিতরণ করা হল। কালীপুজোর দিন থেকে শনিবার পর্যন্ত প্রায় চার হাজার কেজি প্রসাদ ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পুজো সমিতির সম্পাদক তাপস ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, "প্রতি বছরের মতো এবারও নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, নৈহাটি পুরসভার মাতৃসদন, ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, কল্যাণী জে এন এম হাসপাতাল-সহ চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালের রোগীদের জন্য ফল পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি ফল দেওয়া হয়েছে সংলগ্ন এলাকার বৃদ্ধাশ্রম, অনাথ আশ্রমেও।"
প্রসঙ্গত, বুধবার বড়মাকে গয়না পরানোর দিন থেকেই ভক্তদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছিল নৈহাটি রেল স্টেশন সংলগ্ন অরবিন্দ রোডে। শনিবার রাত পর্যন্ত জনজোয়ার চোখে পড়েছে। আগামিকাল সোমবার বিকেল চারটের সময় পরম্পরা মেনে নৈহাটিতে সবার আগে হবে বড়মার নিরঞ্জন। পুলিশ ও প্রশাসনের অনুমান, বিগত বছরগুলোর মতো এবারও বিসর্জনে প্রচুর ভক্তের সমাগম হবে। তাই আগেভাগেই বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। ডিসি নর্থ গণেশ বিশ্বাস জানিয়েছেন, "নিরঞ্জন সম্পন্ন করতে গত বছরের মতোই ব্যবস্থাপনা থাকছে। পাশাপাশি নির্বিঘ্নে বড়মার নিরঞ্জন করতে আরও বেশি সংখ্যায় পুলিশ মোতায়েন থাকবে।"