shono
Advertisement
Narendrapur

ফোনে কথা বলা নিয়ে নিত্য অশান্তি! বিয়ের ৮ মাসের মাথায় শ্বশুরবাড়িতে রহস্যমৃত্যু বধূর

মৃতার বাবার অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছে।
Published By: Tiyasha SarkarPosted: 09:48 AM Dec 23, 2025Updated: 09:48 AM Dec 23, 2025

দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ফোনে কথা বলা নিয়ে অশান্তির শুরু। স্রেফ সন্দেহের বশে বধূকে খুনের অভিযোগ স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরে। ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। মৃতার স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাসুরের নামে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে বাপের বাড়ির সদস্যরা।

Advertisement

জানা গিয়েছে, মৃতার নাম শুভ্রা সরদার। বারুইপুর থানার কাটাখাল এলাকার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। সোশাল মিডিয়ায় নরেন্দ্রপুরের কেলেগোড়ের বাসিন্দা রানা সরদারের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। কথাবার্তা বাড়তে থাকে। একটা সময় প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। প্রেম পরিণতি পেতে বিশেষ সমস্যা হয়নি। গত এপ্রিলে পরিবারের সম্মতিতেই এক হয় চার হাত। এরপর থেকেই সমস্যার শুরু। জানা যায়, শুভ্রা ফোনে কথা বললে তা নিয়ে অশান্তি করতেন রানা। কারণ, তাঁর সন্দেহ ছিল পরকীয়ায় জড়িয়েছেন স্ত্রী।

এরই মাঝে গত সপ্তাহে পৌষমেলা উপলক্ষে বাপের বাড়ি যান শুভ্রা। রবিবার শ্বশুর গিয়ে তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে যান। এরপর সোমবারই বাড়িতে পৌঁছয় মেয়ের মৃত্যুর সংবাদ। মৃতার বাপের বাড়ির সদস্যদের কথায়, শুভ্রার শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাঁরা নিশ্চিত যে শুভ্রাকে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনায় নরেন্দ্রপুর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মৃতার বাবা মনা সরদার লিখিত অভিযোগে স্বামী রানা সরদার, শ্বশুর ভদ্রেশ্বর সরদার, শাশুড়ি সুক্কুলি সরদার ও ভাসুর রাকেশ সরদারের নাম উল্লেখ করেছেন। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • ফোনে কথা বলা নিয়ে অশান্তির শুরু। স্রেফ সন্দেহের বশে বধূকে খুনের অভিযোগ।
  • ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরে। ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
  • মৃতার স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাসুরের নামে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে বাপের বাড়ির সদস্যরা।
Advertisement