মণিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: পাঁচিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী দুই পরিবারের বিবাদ ছিল বেশ কিছুদিনের। সে বিবাদ গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। এর মাঝেই একপক্ষের পরিবারকে শায়েস্তা করতে বাড়ির মহিলার স্নানের দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করে ভাইরাল করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় উলুবেড়িয়া (Uluberia) থানায় কুলগাছিয়া এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
কয়েক সপ্তাহ আগে প্রতিবেশী এই কুকীর্তি ঘটিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে গত শনিবার গৃহবধূর পরিবারের পক্ষ থেকে হাওড়ার গ্রামীণ পুলিশের সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। অভিযোগ দায়ের হয়েছে প্রতিবেশী তারক হাজরা, বাপন হাজরা এবং সুকেশ হাজরার বিরুদ্ধে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও এখনও পলাতক অভিযুক্তরা।
[আরও পড়ুন: স্কুল যেতে শিক্ষিকা রোজ পেরতে হয় ২৮৪ কিমি! বদলির আবেদন মঞ্জুর হাই কোর্টে]
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি পাঁচিলকে কেন্দ্র করে তারকদের সঙ্গে ওই গৃহবধূর পরিবারের বিবাদ চলছিল। অভিযোগ, ওই গৃহবধূর পরিবারকে শায়েস্তা করতে তারকার গৃহবধূর স্নানের দৃশ্য মোবাইলের ক্যামেরাবন্দি করে তা সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল করে দেয়। বিষয়টি নিয়ে ওই গৃহবধূ ও তার পরিবারের লোকেরা প্রথমে কিছুই বুঝতে পারেননি। সপ্তাহখানেক ধরে ওই বধূ হঠাৎই লক্ষ্য করেন, রাস্তায় বের হলে তাঁকে দেখে এলাকার ছেলেমেয়েরা হাসছে। বাঁকা চোখে দেখছে। এমনকী, অনেক মহিলাও মুখ ঢেকে হাসাহাসি করছে।
একদিন ওই ছেলেমেয়েদের কৌতূহলবশত বিষয়টি জানতে চান তিনি। জানতে পারেন, তাঁর স্নানের দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। এরপর তিনি ক্ষোভে, লজ্জায় কাঁদতে থাকেন, ভেঙে পড়েন। তাছাড়া সেই ভিডিও তাঁর ছেলের হাতে এসে পৌঁছয়। এরপরই তাঁরা খোঁজ খবর করতে শুরু করেন। পুরো বিষয়টি জানতে পারেন। শেষে গত শনিবার গৃ্হবধূ বিষয়টি নিয়ে সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ দাযের করেন। গৃহবধূর দাবি, “তারকরা আমাদের সায়েস্তা করতে ও আমার সম্মানহানি করতে লুকিয়ে স্নানের দৃশ্য মোবাইলবন্দি করে। তারপর তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেয়। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”