ধীমান রায়, কাটোয়া: কেউ কাউকে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন না। বন্ধুত্ব শুধু ফেসবুকেই। প্রবল গ্রীষ্মে রক্ত সংকট মেটাতে এই সোশ্যাল মিডিয়াই হয়ে উঠল সবচেয়ে কার্যকরী৷ সোশ্যাল মিডিয়ার আবেদনে সাড়া দিয়ে কাটোয়া ব্লাড ব্যাংকে রক্ত দিলেন ২০ জন। এমন অভিনব উদ্যোগে খুশি ব্লাড ব্যাংক কর্তৃপক্ষও। তাদের আশা, আগামী দিনে আরও অনেকেই রক্ত দিতে এগিয়ে আসবেন।
[ আরও পড়ুন: পানীয় জলের দাবিতে নোদাখালিতে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ, লাঠিচার্জ পুলিশের]
গ্রীষ্মের প্রবল দাবদাহে পুড়ছে দক্ষিণবঙ্গ। তার উপর চলছে লোকসভা ভোট। ব্লাড ব্যাংকগুলিতে রক্তের সংকট চরমে। রক্তদানের আবেদন জানিয়ে মঙ্গলবার ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন কাটোয়া কলেজের ছাত্র জাভেদ হাসান। সেই পোস্টটি আবার ১৩ জন বন্ধুকে ট্যাগ করেছিলেন তিনি। আবেদন ছিল, ‘২ মে সকাল আটটায় কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করব। ইচ্ছুকরা শিবিরে যোগাযোগ করুন। আপনার দান করা রক্তেই হয়তো কারও জীবন বাঁচবে।’ সেইমতো বৃহস্পতিবার সকালে কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে যান জাভেদ। শিবির শুরু হতে প্রায় দশটা বেজে যায়। ততক্ষণে রক্ত দেওয়ার জন্য হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছেন অনেকেই।
কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে সূত্রে খবর, এদিন রক্ত দিয়েছেন ২০ জন। ১৩ জনই মহিলা। সকলেই কলেজ পড়ুয়া, তাঁদের বাড়ি কাটোয়া ও আশেপাশের অঞ্চলে। কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ব্লাড ব্যাংকের আধিকারিক বাণীব্রত আচার্য বলেন, ‘ভোটের কারণে এবার রক্তদান শিবির অনেক কম হয়েছে। তাই ব্লাড ব্যাংকে রক্তের সংকট যথেষ্টই। পড়ুয়াদের উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়।’ আর উদ্যোক্তাদের বক্তব্য, আলাদা করে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করতে খরচ হত। খরচ বাঁচাতেই সরাসরি ব্লাড ব্যাংকে গিয়ে রক্তদানের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। আগামী দিনে ব্লাড ব্যাংকেই গিয়ে এভাবেই রক্ত দিয়ে আসবেন বলে ঠিক করেছেন পড়ুয়ারা৷আর এভাবেই নিজেদের সাধু উদ্যোগ তাঁরা ছড়িয়ে দিতে চান জেলার বিভিন্ন প্রান্তে৷
[ আরও পড়ুন: জোড়া মাথা সদ্যোজাতের! জন্মের কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যুতে চাঞ্চল্য পূর্ব মেদিনীপুরে]
The post ফেসবুকেই মিটল রক্তসংকট, সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেদনে সাড়া ২০ জনের appeared first on Sangbad Pratidin.
