সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হ্যান্ডশেক বিতর্কে বিদ্ধ ছিল এশিয়া কাপ। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে যত না উত্তেজনা, তার চেয়ে বেশি উত্তেজনা ছিল হ্যান্ডশেক ইস্যু নিয়ে। পহেলগাঁওকাণ্ড এবং অপারেশন সিঁদুরের পর পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে কোনওরকম করমর্দন করা যাবে না। এমনই অঘোষিত নীতি নিয়েছে ভারতীয় বোর্ড। দুই দল আবারও মুখোমুখি হবে টি-টোয়েন্ট বিশ্বকাপে। সেখানে কি সূর্যকুমার যাদবদের সঙ্গে হাত মেলাবেন শাহিন আফ্রিদিরা? এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান মহসিন নকভি।
নকভি বলেন, "যদি ওরা করমর্দন করতে না চায়, তাহলে আমাদেরও তেমন কোনও ইচ্ছা নেই। যাই ঘটুক না কেন, ভারত যেটা করবে তার পালটা জবাব দেওয়া হবে। আপনারা দেখতে পাবেন, ভবিষ্যতেও আমাদের একই রকম দৃষ্টিভঙ্গি থাকবে। ওরা একই কাজ বারবার করবে আর আমরা পিছু হটব, সেটা তো ঘটতে পারে না।"
নকভি জানিয়েছেন, এই প্রসঙ্গে তাঁর সঙ্গে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে কথা হয়েছিল। তিনি ক্রিকেট এবং রাজনীতিকে আলাদা করার কথা বলেছিলেন। পিসিবি প্রধানের কথায়, "আগেও একথা বলেছি। আবারও বলছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী আমাকে বার দু'য়েক বলেছেন, সব কিছুর মধ্যে রাজনীতিকে ঢুকতে দেওয়া উচিত নয়। সেদিনই তো সরফরাজ আপনাদের বলেছিল, আমাদের সঙ্গে কী ধরনের আচরণ করা হয়েছিল।"
বড়দের এশিয়া কাপ তো বটেই অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপেও একই ছবি দেখা গিয়েছিল। হাত না মেলানো তো বটেই, দুই দলের ক্রিকেটাররাই একাধিকবার বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। যুব পাক দলের মেন্টর সরফরাজ আহমেদ বলেছিলেন, "ভারতীয় খেলোয়াড়দের ভালো ছিল না। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর স্পোর্টসম্যান স্পিরিট মেনেই সেলিব্রেশন করেছি। আমার মতে, ক্রিকেটে সৌজন্য বজায় রাখা উচিত। তবে ভারত কিন্তু তা করেনি।"
উল্লেখ্য, এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩ ম্যাচের একটিতেও করমর্দন করেনি ভারতীয় দল। এরপর মহিলাদের বিশ্বকাপেও একই রাস্তায় হেঁটেছিল ভারতীয় মহিলা দল। যুব এশিয়া কাপেও একই ছবি দেখা যায়। সেখানেই পাক প্রতিপক্ষের সঙ্গে করমর্দন করেনি টিম ইন্ডিয়া। আর এই পরিস্থিতিতে সরফরাজের পর নকভির মন্তব্যেও স্বাভাবিকভাবেই বিতর্ক বাড়ল। ১৫ ফেব্রুয়ারি, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মুখোমুখি হতে চলেছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল।
