নন্দন দত্ত, সিউড়ি: মনোজ ঘোষের পর ইসলাম চৌধুরী। বিস্ফোরক মজুতের অভিযোগে এবার এনআইএ'র জালে তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি। ইসলাম চৌধুরী নামে ওই ব্যক্তি বীরভূমের কুশমোড় ২ নম্বর ব্লকের শাসক শিবিরের অঞ্চল সভাপতি। ধৃত ইসলাম নির্দোষ বলেই দাবি তাঁর পরিবারের। গ্রেপ্তারির নেপথ্যে রাজনীতির গন্ধই পাচ্ছেন তাঁরা।
গত ২৮ জুন সকালে আচমকাই নলহাটির বাহাদুরপুরে মনোজ ঘোষের একটি পাথর খাদানে হানা দেয় এনআইএ আধিকারিকরা। দীর্ঘ আট থেকে দশ ঘন্টা সেখানে তল্লাশি চালান আধিকারিকরা। এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, অফিসে সেই সময় মনোজ ঘোষের ম্যানেজার পার্থকুমার মণ্ডল উপস্থিত ছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাঁকে সঙ্গে নিয়েই খাদানের কাছে একটি পরিত্যক্ত ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার হয়। এরপর পুনর্নির্বাচনের দিন তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
[আরও পড়ুন: সোনারপুরে তরুণীর রহস্যমৃত্যু! নির্মীয়মাণ বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে মিলল নগ্ন দেহ! নেপথ্যে কে?]
এনআইএ সূত্রে খবর, মনোজ ঘোষকে জেরা করে বীরভূমের কুশমোড়ের ইসলাম চৌধুরীর খোঁজ পান তদন্তকারীরা। কুশমোড় ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি তিনি। শুক্রবার ভোররাতে তাঁর বাড়িতে পৌঁছয় NIA। ইসলাম চৌধুরীকে পাইকর থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর তাঁকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতায়। ইসলাম চৌধুরী কোনও অপরাধমূলক কাজ করতে পারেন না বলেই দাবি তাঁর বাবা সানোয়ার চৌধুরীর। ইসলামের স্ত্রী পারভিন বিবি পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী ছিলেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন তিনি। সে কারণেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁর স্বামীকে আটক করা হয়েছে বলেই অভিযোগ।
