সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুক্রবার রাত থেকে প্রিন্স ও বিশালকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে তদন্তকারীদের। জানা গিয়েছে, দেড় মাস আগেই দেবাঞ্জনকে খুনের ছক কষেছিল প্রিন্স। জোগাড় করেছিল অস্ত্রও। আগে থেকেই দেবাঞ্জনকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য নবমীর দিনটিকেই বেছে নিয়েছিল প্রিন্স। সেই কারণেই পরিকল্পনামাফিক নবমীর সকাল থেকেই প্রিন্সের নির্দেশে দেবাঞ্জন ও তাঁর বান্ধবীর উপর নজর রাখতে শুরু করেছিল বিশাল।
তদন্তে জানা গিয়েছে, কয়েকমাস আগেই প্রিন্সের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায় প্রেমিকার। এরপরই তৃষার সঙ্গে ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে দেবাঞ্জনের। এরই মাঝে প্রায় তিন মাস রিহ্যাবে কাটে প্রিন্সের। কিন্তু তৃষার দেবাঞ্জনের ঘনিষ্ঠতা কিছুতেই মানতে পারছিল না প্রিন্স। তাই রিহ্যাব থেকে ফিরেই দেবাঞ্জনকে খুনের ছক কষতে থাকে প্রিন্স। আর প্রথম থেকে গোটা পরিকল্পনায় প্রিন্সের পাশে ছিল বিশাল মারু। দেড় মাস আগেই অপর এক বন্ধুর থেকে জোগাড় করে রেখেছিল খুনের অস্ত্র। শুধু সময়ের অপেক্ষায় ছিল অভিযুক্তরা। প্রিন্সের নির্দেশে এরপর নবমীর দিন সকাল থেকেই প্রাক্তন প্রেমিকা ও দেবাঞ্জনের উপর নজরদারি শুরু করে বিশাল। প্রতিমুহূর্তে তাঁরা কী করছে, কোথায় যাচ্ছে সেই সব খবর বিশালই পৌঁছে দিতে থাকে প্রিন্সকে। নবমীর রাতে পার্টি থেকে ফেরার সময়ও দেবাঞ্জনদের পিছু নেয় বিশাল। বাড়ির সামনে নেমে দেবাঞ্জনকে দেখে হাত নাড়ায় তৃষা। সেই খবরও প্রিন্সের কাছে পৌঁছে দেয় বিশাল।
এরপরই ক্ষোভের বশেই বিশালের স্কুটার নিয়ে দেবাঞ্জনকে তাড়া করে প্রিন্স। বিষয়টি লক্ষ্য করে গাড়ির গতি বাড়িয়ে দেয় দেবাঞ্জন। কিন্তু নাহ তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। অবশেষে বিরাটির স্কুল রোডের কাছে দেবাঞ্জনকে ধরে ফেলে প্রিন্স। শুরু হয় বচসা। সেখানেই গুলি করা হয়। এই অবস্থায় কিছুটা গাড়ি চালায় দেবাঞ্জন। এরপর ফের গুলি করা হলে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে দেবাঞ্জন। বিশাল ও প্রিন্সকে জেরার পর এমনই তথ্য উঠে এসেছে তদন্তকারীদের হাতে। কিন্তু কার থেকে আগ্নেয়াস্ত্র জোগাড় করেছিল অভিযুক্তরা, তা এখনও প্রকাশ্যে আসেনি।
[আরও পড়ুন:‘সরকার ছুটিতে যেতে পারে না’, ধামাখালির বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল]
The post দেড় মাস আগেই দেবাঞ্জনকে খুনের ছক কষে প্রিন্স, প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য appeared first on Sangbad Pratidin.
